১০ কোম্পানি ও ৪ ব্যক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
আবার নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি এবার নতুন করে ১০ কোম্পানি ও চার ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার ইরানে ড্রোনের জন্য বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ কোম্পানির বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এসব কোম্পানি দেশটির সাথে ড্রোনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায় সংযুক্ত রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, তারা তেহরানকে সংবেদনশীল সরঞ্জাম পাঠানোর অভিযোগে বিদেশি কয়েক কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের তৈরি বিভিন্ন বেনামি ড্রোন মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞায় আওতায় রয়েছে ১০ কোম্পানি ও চার ব্যক্তি। এসব ব্যক্তি ও কোম্পানি সংশ্লিষ্ট ফার্ম মূলত মধ্যস্থতাকারী, সম্মুখসারি আবার কোনোটা কাঁচামাল সরবরাহ করে আসছে। এগুলো হলো ইরানি, মালয়েশিয়া, হংকং ও ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানি প্রতিষ্ঠান।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, এ নেটওয়ার্ক মিলে হাজার হাজার ডলারের বিদেশি সরঞ্জাম ইরানের ইসলামিক রেভলুশনারি গার্ডের মহাকাশ গবেষণা দলকে সহযোগিতা করছে। এ দলটি মূলত ইরানভিত্তিক অস্ত্র ও যুদ্ধসরঞ্জাম তৈরি করে আসছে।
মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ফর টেররিজম অ্যান্ড ফাইনানসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্রিয়ান নেলসন এক বিবৃতিতে জানান, মধ্যপ্রাচ্য ও রাশিয়ায় ইরানের উৎপাদিত অবৈধ বেনামি ড্রোন উৎপাদনে উত্তেজনা বাড়ছে ও সংঘাত দীর্ঘায়িত হচ্ছে। ফলে স্থিতিশীলতাও নষ্ট হচ্ছে।
এর আগে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বিশ্বের ১৩টি দেশের ৩৭ জন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্ব মানবাধিকার দিবসকে সামনে রাখে স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এই নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন।
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও পররাষ্ট্র দপ্তর ১৩টি দেশের ৩৭ জন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ১৩টি দেশ হলো আফগানিস্তান, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো, হাইতি, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, লাইবেরিয়া, চীন, রাশিয়া, দক্ষিণ সুদান ও সুদান, সিরিয়া, উগান্ডা ও জিম্বাবুয়ে। এই পদক্ষেপ ব্রিটেন ও কানাডার সঙ্গে সমন্বয় করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।