শেষ হতে চলল ২০২৩। নতুন বছর কড়া নাড়ছে দরোজায়। অনেক প্রাপ্তি ও সফলতার পাশাপাশি ২০২৩-এ রয়েছে কিছু হারানোর ক্ষতও। এ বছর চিরবিদায় জানাতে হয়েছে বেশ কয়েকজন কীর্তিমান আলোকিত মানুষকে; যারা একসময় তাদের প্রতিভার দ্যুতি ছড়িয়ে আলোকিত করেছেন রাজনীতির মাঠ কিংবা শিল্পাঙ্গন। বছর শেষে পেছন ফিরে তাকানোর এই আয়োজনে শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি তাদের—
সমরেশ মজুমদার
‘উত্তরাধিকার’, ‘কালবেলা’, ‘কালপুরুষ’সহ বহু জনপ্রিয় উপন্যাসের স্রষ্টা সমরেশ মজুমদার চলে গেছেন এ বছরই। কোটি সাহিত্যপ্রেমী কিংবা ভক্ত-অনুরাগীদের কাঁদিয়ে এ বছরের ৮ মে ৮১ বছর বয়সে পরপারে পাড়ি জমান তিনি। শহরকেন্দ্রিক জীবনের আলেখ্য বারবার উঠে এসেছে তার লেখায়। যে কারণে তাকে আপাদমস্তক ‘আরবান’ লেখক বলে অনেক সময় বর্ণনা করা হয়। তিনি ১৯৮২ সালে আনন্দ পুরস্কার, সাহিত্য অাকাদেমি পুরস্কার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক বঙ্গবিভূষণসহ নানান সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
কিংবদন্তি এ সাহিত্যিকের অন্যান্য বিখ্যাত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে-দৌড়, গর্ভধারিণী, অর্জুন সমগ্র, সাতকাহন, ছায়া পূর্বগামিনী, স্বপ্নের বাজার, অনুরাগ, তেরো পার্বণ, সহজপুর কতদূর, সূর্য ঢলে গেলে, আট কুঠুরি নয় দরজা, আমাকে চাই, কেউ কেউ একা প্রভৃতি।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মারা গেছেন এ বছরের ১২ এপ্রিল। নির্মোহ, নির্লোভ, পরোপকারী এই মানুষটি ৮১ বছর বয়সে নিজের গড়া গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইহলোক ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী নাগরিক অধিকার আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন। অসুস্থ শরীরেও তিনি নাগরিকদের বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকারের পক্ষে নিয়মিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন ভাস্কুলার সার্জন। তিনি মূলত জনস্বাস্থ্য চিন্তাবিদ। ১৯৮২ সালের ওষুধনীতি দেশকে ওষুধে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ করে, ওই নীতি প্রণয়নের অন্যতম কারিগর ছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বহির্বিশ্বে তার পরিচয় বিকল্প ধারার স্বাস্থ্য আন্দোলনের সমর্থক ও সংগঠক হিসেবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে। তার বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। মা হাছিনা বেগম চৌধুরী ছিলেন গৃহিণী। মা–বাবার ১০ সন্তানের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সবার বড়।
কথাসাহিত্যিক পান্না কায়সার
আগস্টটা সত্যিই শোকের মাস। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শামসুর রাহমান, তারেক মাসুদকে হারানো এই আগস্ট মাসেই এ বছর হারাতে হয়েছে কথাসাহিত্যিক পান্না কায়সারকে। ২০২৩-এর ৪ আগস্ট ৭৩ বছর বয়সে মারা শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সার। সাহিত্য ও রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন এ সাংবাদিক-লেখক। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে ২০২১ সালে মর্যাদাপূর্ণ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন পান্না কায়সার। তার গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে— মুক্তিযুদ্ধ : আগে ও পরে, নীলিমায় নীল, হৃদয়ে বাংলাদেশ, অন্য কোনোখানে, তুমি কি কেবলি ছবি, রাসেলের যুদ্ধযাত্রা, সুখ, না চুনি না পান্না প্রভৃতি।
কবি আসাদ চৌধুরী
কাঁধে ঝোলা, পান খাওয়া লাল ঠোঁট। স্মিত হাসিমাখা মুখে জর্দার ম-ম ঘ্রাণ। ঢিলেঢালা রঙিন শার্ট বা পাঞ্জাবি ছাড়া খুব একটা দেখা যায়নি মাটি ও মানুষের কবি, প্রেম ও প্রতিবাদের কবি আসাদ চৌধুরীকে। কথা বলতেন শুদ্ধ বাংলায়। সহজ-সরল মেদহীন অকৃত্রিম ভাব ও ভাষা ছিল কণ্ঠে। তবে কখনোই ভাষায় বরিশালের আঞ্চলিকতাকে উপেক্ষা করতে দেখা যায়নি তাকে। মানুষের জন্য নির্মোহ ভালোবাসা ছিল কবির। কবিতাকে তিনি ভেবেছেন সুন্দরের মিনার ও মন্দির। সৌন্দযের্র টানে ছুটেছেন দেশ-দেশান্তর। যাপন করেছেন শত-সহস্র আচ্ছন্ন কবিতা-প্রহর। শব্দের রহস্য আর জীবনের বিচিত্র রসিকতাকে লালন করে চলছিলেন ‘তবক দেওয়া পান’-এর কবি আসাদ চৌধুরী।
৮০ বছর বয়সে ষাটের দশকের অন্যতম প্রধান এই কবি পরপারে পাড়ি জমান এ বছরের ৫ অক্টোবর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া জমিদার বাড়িতে জন্মেছিলেন আসাদ চৌধুরী। ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১৩ সালে একুশে পদক লাভ করেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে—তবক দেওয়া পান, বিত্ত নাই বেসাত নাই, প্রশ্ন নেই উত্তরে পাহাড়, জলের মধ্যে লেখাজোখা, যে পারে পারুক, মধ্য মাঠ থেকে, মেঘের জুলুম পাখির জুলুম, আমার কবিতা, ভালবাসার কবিতা, প্রেমের কবিতা, দুঃখীরা গল্প করে, নদীও বিবস্ত্র হয়, টান ভালবাসার কবিতা, বাতাস যেমন পরিচিত, বৃন্তির সংবাদে আমি কেউ নই, কিছু ফল আমি নিভিয়ে দিয়েছি, ঘরে ফেরা সোজা নয় প্রভৃতি।
চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক
মূল নাম আকবর হোসেন পাঠান। তবে ফারুক নামে অধিক পরিচিত ছিলেন এই চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ। অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীদের কাঁদিয়ে এ বছরের ১৫ মে ৭৪ বছর বয়সে তিনি পরপারে পাড়ি জমান। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড়পর্দায় আসেন নায়ক ফারুক। অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে ভূষিত হয়েছেন আজীবন সম্মাননায়। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে সারেং বৌ, লাঠিয়াল, সুজন সখী, নয়নমনি, মিয়া ভাই, গোলাপী এখন ট্রেনে, সাহেব, আলোর মিছিল, দিন যায় কথা থাকে ইত্যাদি।
ফারুক ১৮ আগস্ট ১৯৪৮ সালে কালীগঞ্জ উপজেলা, গাজীপুর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আজগার হোসেন পাঠান। তার শৈশব-কৈশোর ও যৌবনকাল কেটেছে পুরান ঢাকায়। পাঁচ বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
কবি মোহাম্মদ রফিক
দুই হাজার তেইশ যেন বিষেভরা বছর। নানান দুর্বিপাক দুর্ঘটনার মধ্যেই তেইশের ৬ আগস্ট বিশিষ্টি কবি মোহাম্মদ রফিক মারা যান। বরিশাল থেকে ঢাকা ফেরার পথেই ৮০ বছর বয়সে চলে যান বাংলাদেশের প্রথিতযশা এ কবি। একজন মননশীল আধুনিক কবি হিসাবে পরিচিতি পাওয়া কবি মোহাম্মদ রফিকের জন্ম ১৯৪৩ সালে, বাগেরহাটে। পেশা জীবনে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। কবি হিসাবে ১৯৬০-এর দশকের শুরু থেকেই পরিচিতি পেতে থাকেন রফিক মোহাম্মদ। ১৯৭০ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ প্রকাশিত হয়। তার অন্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো— ধুলার সংসারে এ মাটি, কীর্তিনাশা, খোলা কবিতা ও কপিলা, গাওদিয়ায়, স্বদেশি নিশ্বাস তুমিময়, মেঘে এবং কাদায়, রূপকথা কিংবদন্তি, মৎস্য গন্ধ্যা, মাতি কিসকু, বিষখালি সন্ধ্যা, কালাপানি, নোনাঝাউ, দোমাটির মুখ, প্রভৃতি। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য মোহাম্মদ রফিক ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। আর একুশে পদকে ভূষিত হন ২০১০ সালে।
সৈয়দ আবুল হোসেন
বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, রাজনীতিবিদ সৈয়দ আবুল হোসেনও চলে গেছেন দুই হাজার তেইশেই। সৈয়দ আবুল হোসেন ১৯৫১ সালে মাদারীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায় একজন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। আবুল হোসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছেন।
কবি মলয় রায়চৌধুরী
দুই শতাধিক গ্রন্থের লেখক ও কবি মলয় রায়চৌধুরী ইহলোক ত্যাগ করেছেন এই তেইশেই। তিনি ৮৪ বছর বয়সে ২০২৩-এর ২৬ অক্টোবর মুম্বাইয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মলয় রায়চৌধুরী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী এবং সর্বোপরি ১৯৬০-এর দশকের হাংরি আন্দোলন—হাংরিয়ালিজম তথা বাংলা সাহিত্যে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার জনক। এ কারণে ১৯৬০-এর দশক থেকেই ব্যাপক পাঠকগোষ্ঠীর দৃষ্টি আর্কষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। গতানুগতিক চিন্তাধারা সচেতনভাবে বর্জনের মধ্য দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যে উত্তর আধুনিকতাবাদ চর্চা এবং প্রতিষ্ঠানবিরোধী আন্দোলন শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে ‘প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার’ কবিতার জন্যে রাষ্ট্রবিরোধী মামলায় গ্রেফতার ও কারাবরণ করেন। মলয় রায়চৌধুরীর রচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য সাহিত্যের সনাতন ধারা অনুশাসনের বিরুদ্ধাচারণ। উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে শয়তানের মুখ, জখম, ডুব জলে যেটুকু প্রশ্বাস, নামগন্ধ, চিৎকার সমগ্র, কৌণপের লুচিমাংস, মাথা কেটে পাঠাচ্ছি যত্ন করে রেখো, বাউল-কবিতা সিরিজ ডোমনি, অ্যালেন গিন্সবার্গের হাউল ও ক্যাডিশ কাব্য-গ্রন্থের অনুবাদ প্রভৃতি অন্যতম।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন
খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনও মারা গেছেন এ বছরের শেষের দিকে, ৯ ডিসেম্বর। তিনি ২০০৭ সালে গঠিত ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয় এর দায়ীত্ব পালন করেন।
মইনুল হোসেন ১৯৪০ সালের ৩১ জানুয়ারিতে জন্মগ্রহণ করেন। বিখ্যাত সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া তার পিতা এবং মাজেদা বেগম তার মাতা। ঢাকার নবাবপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাস করেন। তিনি ১৯৬১ সালে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তারপরে মিডল টেম্পল এ আইন বিষয়ক পড়াশোনা করেন। ১৯৬৫ সালে বার থেকে ব্যারিস্টার-ইন-ল ডিগ্রি অর্জন করেন এবং একই বছর ডিসেম্বরে ঢাকা হাইকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা
খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাও মারা গেছেন দুই হাজার তেইশের ১৯ ফেব্রুয়ারি। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। ১৯৪৩ সালের ৬ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন নাজমুল হুদা। ২০১২ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেন। নাজমুল হুদা বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন।
নাজমুল হুদা জিয়াউর রহমান গঠিত জাগদলে যোগদান করেন। ১৯৭৮ সালে গঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও দলের সর্বকনিষ্ঠ স্থায়ী সদস্য ছিলেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি তথ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। নাজমুল হুদা বিএনপি সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
২০১২ সালের ১০ আগস্ট নাজমুল হুদা ও আবুল কালাম মিলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। কিন্তু কয়েক মাস পরে আবুল কালাম কর্তৃক বিএনএফ থেকে বহিষ্কার হন। ২০১৪ সালের ৭ মে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জোট নামে একটি জোট গঠন করেন। এবং ২১ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি নামে দল গঠন করেন। ২০ নভেম্বর ২০১৫ সালে হুদা তৃণমূল বিএনপি নামে আরও একটি নতুন দল গঠন করেন।