ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এক গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরান। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিদবেদনে বলা হয়েছে, ইরানে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি ইরানের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিস্তান ও বেলুচিস্তানে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করে আসছিলেন।
ইরানের বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মৃত্যুদণ্ড দেওয়া ওই ব্যক্তির পরিচয় জানানো হয়নি। তবে তাকে শনিবার সকালে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে জেনেশুনে শ্রেণিবদ্ধ তথ্য সংগ্রহ করা এবং এগুলো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা বিশেষ করে মোসাদকে সরবরাহের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ওই ব্যক্তি দেশের শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার লক্ষ্যে এবং ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিরোধী দল ও সংগঠনের পক্ষে প্রচারণার জন্য কাজ করেছেন। এসব অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এর আগে কাতার থেকে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কর্মকর্তাদের সরিয়ে নেয় ইসরায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, বন্দিবিনিময় নিয়ে আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দেওয়ায় নেতানিয়াহুর নির্দেশে দোহায় থাকা মোসাদের সদস্যদের দেশে ফিরে আসার আদেশ দিয়েছেন মোসাদপ্রধান ডেভিড বার্নিয়া।
এ ছাড়া বিবৃতিতে হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর শর্ত পূরণ করেনি বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, গাজায় বন্দি সব ইসরায়েলি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল হামাসের।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী জানান, হামাস নেতারা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে মোসাদ। স্থানীয় সময় বুধবার যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি নিয়ে কথা বলার সময় এ সতর্কবার্তা দেন তিনি। নেতানিয়াহু জানান, এটা খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত তবে সঠিক সিদ্ধান্ত। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়।
এমনিতেই এসপিওনাজ জগতের সবচেয়ে ভয়ংকর সংস্থা হিসেবে পরিচিতি রয়েছে ইসরায়েলের মোসাদের। গঠিত হওয়ার পর থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দুর্ধর্ষ সব অভিযান চালিয়ে সবার ভয় আদায় করে নেয় মোসাদ। এ ছাড়া গুপ্তহত্যার জন্য বিশেষ কুখ্যাতি রয়েছে সংস্থাটির। প্রায়ই ইসরায়েলের স্বার্থবিরুদ্ধ কাজের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা মোসাদের হাতে নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।