বিভিন্ন মামলার সাজায় বিপাকে বিএনপি নেতারা
বিচারাধীন মামলা এবং সাজায় বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতাকর্মীরা। প্রায় প্রতিদিনিই ঢাকার আদালতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুরোনো মামলায় রায় হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) অবৈধ সম্পদের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার রায় ঘোষণা হতে চলেছে। এ মাসে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আরও অনেক মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগেরদিন সোমবারও (১১ ডিসেম্বর) নাশকতা ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের পৃথক ৫ মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, ঢাকা সিটির সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ারুজ্জামান, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মজনু ও জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন সূত্র বলছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এসব রায় ঘোষণা করেন। প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, গত সাড়ে ৩ মাসে ৬২ মামলায় বিএনপির সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের ৯৫৯ নেতাকর্মীদের সাজা হয়েছে। এর মধ্যে আগস্টে ৩ মামলায় ২৭ জন, অক্টোবরে ৫ মামলায় ৫৪ জন, নভেম্বরে ৩৫ মামলায় ৬২৫ জন এবং ডিসেম্বরের ১১ তারিখ পর্যন্ত ১৮ মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে ২৫৬ জনের সাজা হয়েছে। রায়ে তিনজন মৃত ব্যক্তিকেও সাজা দেওয়ার তথ্য মিলেছে। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী খালাসও পেয়েছেন। এসব মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা, কর্তব্য কাজে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিএনপির আইনজীবীরা জানান, বিচারকাজ এত দ্রুত চলছে যে, ডিসেম্বর মাসেই আরও অন্তত ৩০টি মামলার রায় হতে পারে। ঢাকার আদালতে বিচারাধীন রয়েছে আরও প্রায় ৫০০ মামলা।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ইতিহাসে আইন অঙ্গনে এ রকম ঘটনা কখনোই পরিলক্ষিত হয়নি। কোনো কোনো মামলায় চার্জশিটে যাদের সাক্ষী করা হয়েছে, তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ ছাড়াও মামলার রায় দেওয়া হয়েছে। এখন যেটা হচ্ছে, শুধু দুই-চারজন পুলিশ সাক্ষী ও পুলিশ বাদীর সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিদিনই কোনো না কোনো মামলার রায় হচ্ছে।
আদালত সূত্র ও আইনজীবীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাজাহান, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, গ্রাম সরকারবিষয়ক সহসম্পাদক বেলাল আহমেদ, সহপ্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম, হাবিবুর রশিদ, আকরামুল হাসান, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মামুন হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন, রাজশাহী জেলা বিএনপি সভাপতি আবু সাঈদ চাঁদসহ যুবদল, ছাত্রদল এবং অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাকর্মীর কোনো মামলায় সাজা হয়েছে ছয় মাস করে। কোনো মামলায় হয়েছে সাত বছর পর্যন্ত। তবে বেশিরভাগ মামলায় সাজা হয়েছে দুই থেকে তিন বছর করে। এর মধ্যে বিএনপির ১৫ জনের মতো নেতাকর্মী একাধিক মামলায় সাজা পেয়েছেন বলে জানান আইনজীবীরা।
রায়ের বিষয়ে অধস্তন আদালতের সরকারি কৌঁসলি (পিপি) আবদুল্লাহ আবু গণমাধ্যমকে বলেছেন, প্রতিদিনই রায় হওয়া আদালতের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটা আগেও হয়েছে। আদালতের মামলা নিষ্পত্তি করার জন্যই রায় হচ্ছে। কম সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়ে রায় দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে পিপি বলেন, এটা ঠিক নয়। সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই রায় দেওয়া হয়। মামলায় যুক্তিতর্ক হয়। সেখানে আসামি পক্ষের আইনজীবীরাও অংশ নিচ্ছেন।
সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক গণমাধ্যমকে বলেছেন, সাধারণভাবে ফৌজদারি বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার হলো শতকরা ২০ থেকে ২৫ ভাগ। এই প্রেক্ষাপটে ইদানীং বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শতভাগ মামলায় অভিযুক্তদের কেউ না কেউ দোষী সাব্যস্ত হচ্ছে।
প্রসঙ্গত যে, গত সাড়ে তিন মাসে দেওয়া ৫২টি রায়ের মধ্যে তিনটি মামলায় মৃত তিন ব্যক্তিকে রায় দেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা ভোট চোর জালেম অত্যাচারী খুনি মাফিয়া প্রধানমন্ত্রীর ষড়যন্ত্রের শিকার,
মিথ্যা ও সাজানো বানোয়াট মামলায় সাজা দাতা বিচারকদের একদিন বিচার হবে ইনশাআল্লাহ।
Robin Chowdhury একদিন তাদের বিচার হতে হতে সাজা দাতারা ধ্বংস ।
আল্লাহ পাক সবাই কে হেফাজত করুন আমিন
স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে না পেরে কোর্টের সাহায্য নিচ্ছে। স্বৈরাচার নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তি পাক ।
জালিমের আদালত
কোন সমস্যা নাই, ভবিষ্যতে তাদের জন্য এই রকম হবে।
বিএনপি আরও শক্ত অবস্হানে।
বিএনপি আছে বিএনপি থাকবে