সংসদ নির্বাচনে ভীতি প্রদর্শন বা চাপ সৃষ্টি করা হলে পুরো আসনের নির্বাচন বাতিল করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) এক পরিপত্রের মাধ্যমে এমনটি জানিয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। সেইসঙ্গে কোনো ভোটকক্ষে একসঙ্গে একাধিক ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা যাবে না বলেও জানানো হয়েছে।
ইসির উপ-সচিব আতিয়ার রহমানের সই করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, কতিপয় ক্ষেত্রে কমিশনের নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করার ক্ষমতা: গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৯১ এর বিধান অনুসারে কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে, নির্বাচনে বল প্রয়োগ, ভীতি-প্রদর্শন এবং চাপ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন বিরাজমান অপকর্মের কারণে ন্যায়ানুগ ও নিরপেক্ষভাবে এবং আইন অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা নিশ্চিত করতে সক্ষম হওয়া যাবে না, সেক্ষেত্রে যেকোনো ভোটকেন্দ্র বা ক্ষেত্রমতো সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকায় যেকোন পর্যায়ে ভোটগ্রহণ বন্ধ করতে পারবে কমিশন।
তাছাড়া, কোনো ব্যালট পেপার নাকচ বা গ্রহণসহ, এ অধ্যাদেশ বা বিধিমালার অধীন কোনো কর্মকর্তার দেওয়া কোনো আদেশ পুনর্বিবেচনা করতে পারবে কমিশন। নির্বাচন নিরপেক্ষ, ন্যায়ানুগ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা নিশ্চিতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান ও ক্ষমতা প্রয়োগসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য আদেশও দিতে পারবে।
এদিকে ওই পরিপত্রে আরও জানানো হয়, কোনো ভোটকক্ষে একই সময়ে একাধিক ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা যাবে না। যখন একটি বাক্স ভর্তি হয়ে যাবে তখন বাক্সটি উপস্থিত সবার সামনে সিল করে নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে এবং ভোটকক্ষে ওই বাক্সের স্থলে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করে অন্য একটি স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ভোটগ্রহণের জন্য রাখতে হবে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সটি এমন স্থানে রাখতে হবে যা উপস্থিত প্রার্থী, নির্বাচনী এজেন্ট, পোলিং এজেন্ট ও ভোটকেন্দ্রে কর্মরত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দৃষ্টিসীমার মধ্যে থাকে এবং সেখানে ভোটাররা সহজে পৌঁছাতে পারেন।
ইসি আরও জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ২৭ এবং ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এর ধারা ৮ অনুসারে ডাকযোগে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটদানের ব্যবস্থা রয়েছে। কোন কোন শ্রেণির ভোটার ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন এবং কী পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন তা অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে। এ সম্পর্কে রিটার্নিং অফিসারের করণীয় কী তাও বিশদভাবে উক্ত অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে।