নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে কৌশলে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হচ্ছে দাবি প্রার্থীদের। মনোনয়নপত্র বৈধ করতে নির্বাচন কমিশনের আপিলের প্রস্তুতি। বাতিলের খাতায় রয়েছেন বেশ কজন এমপি ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকের প্রার্থীরা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দীর্ঘ হচ্ছে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিলের তালিকা। জাল স্বাক্ষর, ভুল তথ্য প্রদান, অসম্পূর্ণ তালিকা জমা, ঋণখেলাপি, ফৌজদারি মামলার তথ্য গোপন, সমর্থনকারীর জাল স্বাক্ষর, হলফনামায় স্বাক্ষর না করাসহ ছোট-বড় নানা ত্রুটির কারণে তাদের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করছেন স্ব স্ব জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এই তালিকায় রয়েছেন- বর্তমান সংসদে থাকা বেশ কয়েজন সংসদ সদস্য।
এছাড়া আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেয়া অনেক প্রার্থীই মনোনয়নপত্র বাতিলের তালিকায় রয়েছেন। তবে সর্বশেষ কতজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হবে- তা আজ মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিনে জানা যাবে। যদিও মনোনয়নপত্র বাতিলের পর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে প্রার্থীরা। তাদের দাবি- নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে কৌশলে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
আগামী ৭ জানুয়ারি দেশে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আসন্ন এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ২ হাজার ৭ শত ৪১ জন প্রার্থী ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে নিজেদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু করে নির্বাচন কমিশন। সর্বশেষ গতকাল রবিবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পদে অনেকেই। এর মধ্যে- খুলনায় তিনটি সংসদীয় আসনে ৩৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। খুলনা-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপি শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেস মনিরা সুলতানা, ইসলামী ঐক্যজোটের রিয়াজ উদ্দিন খান, জাতীয় পার্টির মো. ফরহাদ আহমেদ, স্বতন্ত্র মো. জুয়েল রানা, মো. রেজভি আলম, এস এম মোর্তজা রশিদী দ্বারা ও আতিকুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। খুলনা-৫ আসনে ইসলামী ঐক্যজোট তরিকুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির মো. শাহীদ আলম, বাংলাদেশ কংগ্রেস এস এম এ জলিল ও স্বতন্ত্র শেখ আকরাম হোসেন। খুলনা- ৬ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম মধু, জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী শেখ মর্তুজা আল মামুন, স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম রাজু, গাজী মোস্তফা কামাল, জি এম মাহবুবুল আলম, মো. মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর। গতকাল রবিবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথমদিনে খুলনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন এই ঘোষণা দেন।
পঞ্চগড়ের দুটি সংসদীয় আসনে পাঁচজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু তোয়বুর রহমান, জেলা কৃষক লীগের সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী আকতারুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মিল্টন রায় ও মুক্তিজোটের আব্দুল মজিদের দলীয় মনোনয়ন না থাকায় বাতিল করা হয়েছে। জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, কমিশন নির্ধারিত এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর না থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। পাবনার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত খেলাপি ঋণের কারণে যাচাই-বাছাইয়ের সময় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। কারণ হিসেবে জানানো হয়- মনোনয়নপত্রে মোকাব্বির খান নিজেকে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ তিনি হাজির করতে পারেননি। একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ইয়াহইয়াহ চৌধুরীর মনোনয়নপত্র কর সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা না দেয়ার কারণে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। তৃণমূল বিএনপির বিকল্প প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল হোসেন ও মোশাহিদ আলীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। হলফনামাসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্রে স্বাক্ষর না করাসহ নানা ত্রুটির কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
ঋণ খেলাপের অভিযোগে মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মাহী বি চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। দুপুরে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবু জাফর রিপন তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা দেন। এই আসনে আরও দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তাদের মধ্যে- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী মুহাম্মদ ফরিদ হোসেন ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবির। ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের প্রথম তালিকায় থাকা বর্তমান সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন, স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম মনিরুজ্জামান মনির, কৃষি ব্যাংকের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (স্বতন্ত্র), জাতীয় পার্টির মো. এজাজুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার আবুল কাশেম ফখরুল। ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. নাসির উদ্দিনের।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দলীয় প্রধান স্বাক্ষরিত কাগজপত্র জমা দিতে না পারায় তার মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম। চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ও একজনকে স্থগিত করা হয়েছে। এরমধ্যে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সাবেক এমপি লায়ন এম এ আউয়ালের মনোনয়নপত্র স্থগিত রাখা হয়। এছাড়া ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোশারফ হোসেন, তরিকত ফেডারেশনের মো. শাহজালাল, স্বতন্ত্র হাবিবুর রহমান পবন ও ফারুক হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। ঋণ খেলাপি ও ভুলতথ্য দেয়ায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি সংসদীয় আসনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। প্রার্থীদের সমর্থনকারীদের জাল স্বাক্ষর, আবেদন ও আয়ের বিবরণীতে অমিল, ঋণখেলাপি এবং নিজেই সমর্থনকারী, নিজেই প্রস্তাবকারীসহ নানা কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, কাজী জাহাঙ্গীর ও জহিরুল ইসলাম চৌধুরী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে জাকের পার্টির বজলুর রহমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাক ও নজরুল ইসলাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম।
কুমিল্লার ৫টি আসনের আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল ও স্থগিত করা হয়েছে। তবে সেগুলো যৌক্তিক কারণেই বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর মধ্যে কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসনে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ব্যারিস্টার নাঈম হাসান, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক হোসেন আকন্দ, কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ, শফিকুল আলম, কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সরকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী কুমিল্লা মো. রুহুল আমিন, কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. ফেরদৌস আহমেদ খন্দকার, কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ জাহেরের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। মানিকগঞ্জের তিনটি আসনেই জাতীয় পার্টির সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের ব্যাংক ঋণ এবং একজনের বাড়ির গ্যাস বিল বকেয়া থাকায় মনোনয়নপত্রগুলো বাতিল করা হয়।
বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন- মানিকগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল ইসলাম রুবেল, একই আসনের আরেক প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হাসান মোহাম্মদ সাঈদ এবং মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম আব্দুল মান্নান।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় রিটার্নিং অফিসারের অফিসের বারান্দায় গড়াগড়ি দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আব্দুল আলী ব্যাপারী। এ সময় তিনি চিৎকার করে বলেন, চক্রান্ত করে তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আব্দুল আলী ব্যাপারী মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর-দৌলতপুর-শিবালয়) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
মেহেরপুর-১ ও ২ আসনে আট জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল এবং এক প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. মিয়াজান আলী, স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির (জেপি) মওলাদ আলী খান, মেহেরপুর-২ আসনে মনোনয়নপত্রে তার এক শতাংশ ভোটারের সত্যতা না পাওয়া ও ভোটারের জাল স্বাক্ষরের কারণে অ্যাডভোকেট রাশিদুল হক জুয়েলের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। একই কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র মোখলেসুর রহমান মুকুল, জাহাঙ্গীর আলম বাদশা ও স্বতন্ত্র আশরাফুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এ ছাড়া হলফনামায় উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র দিতে না পারায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী আল ফারুকের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়। দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হুসাইন বিপু ও দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে রাসেদ পারভেজের মনোনয়ন বাতিল হয়। ভোটাদের নমুনা স্বাক্ষরে গড়মিল থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
নোয়াখালী-১ (বেগমগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরণের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। ঋণ খেলাপের দায়ে তার মনোনয়নটি বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। অন্যরা হলেন- জাসদের জয়নাল আবদীন, স্বতন্ত্র আবুল কাশেম ও মনিরুল ইসলাম। তাদের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়। সিরাজগঞ্জের ৩টি সংসদীয় আসনে ১০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। জেলা নির্বাচন অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, সিরাজগঞ্জ-১ আসনে জাকের পার্টির রেজাউল করিম, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সোহেল রানা, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফুল আলম খন্দকার, সাখাওয়াত হোসেন সুইট আব্দুল হালিম খান দুলাল, স্বপন কুমার রায়, নুরুল ইসলাম, মোজাফফর হোসেন ও মুক্তিজোটের প্রার্থী নুরুল ইসলাম প্রামাণিক। এদের ‘এক শতাংশ ভোটারের তালিকায় গরমিল থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
রাজশাহীর ৬টি সংসদীয় আসনে ১৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তাদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে অবৈধ ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শামীম আহমেদ। জাল স্বাক্ষর, ঋণখেলাপি, তথ্যে ভুল, তালিকা অসম্পূর্ণ থাকায় আলোচিত প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী আয়শা আক্তার ডালিয়াসসহ ১৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন তিনি।