আ.লীগকে সমর্থন দেয়ায় ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বিএনপির, শেষপর্ব

ভারত নিয়ে বিএনপির অবস্থান তাহলে কী?

বিএনপি নেতারা মনে করেন, ভারত সরকার যে অবস্থান নিয়েছে বলে তারা দাবি করছেন, তাতে দুই দেশের জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি।

দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, “আমাকে যে বিষয়টি উদ্বিগ্ন করে তা হলো এই যে, মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্মক সহায়তার জন্য ভারতের প্রতি যে বাংলাদেশের জনগণের চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকার কথা সেই ভারত কি করে বাংলাদেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো! এটা কি গত কয়েক দশকে ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব বা সাউথ ব্লকের বিশাল ব্যর্থতা নয়”?

তিনি বলেন, “তারা কি আজ পুনরায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের অজুহাতে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করে ২০১৪ সালের মতো আরেকটি ভুল করতে যাচ্ছে না?”

“বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলোর পাশাপাশি পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্বেরও চাওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবন এবং আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের সরকার স্পষ্টতই তা বাধাগ্রস্ত করছে,” বলেন তিনি।

তার মতে দুই দেশের সম্পর্ক স্থায়ী ও অর্থবহ করতে পারে দুই দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক, রাজনৈতিক দলের সাথে দলের বা সরকারের সাথে সরকারের সম্পর্ক নয়।

যদিও বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলছেন, ভারত বরাবরই তাদের জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে শেখ হাসিনা সরকারকে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে করে এবং সে কারণেই তারা বোঝাতে চাইছে যে শেখ হাসিনার সরকারই তাদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য।

“এখানে বিষয়টি হলো জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় কী করেছিলো সেটি ভারত হয়তো ভোলেনি। এখনও নিরাপত্তা ইস্যু তাদের জন্য বেশী গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে তারা তাদের স্বার্থই দেখছে। এখানে অন্য কিছু প্রত্যাশা করার সুযোগ কোথায়,” বলছিলেন মি.আহমেদ।

Exit mobile version