আওয়ামী লীগ সরকারকে সমর্থন দেয়ায় কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতার সমালোচনা করায় চীন এবং রাশিয়ার সমালোচনা করে বিএনপি সরাসরি বিবৃতি দিলেও ভারত নিয়ে কোন প্রকাশ্যে কিছু বলা থেকে বিরতই ছিলে দলটির নেতারা।
শেষ পর্যন্ত, গত ২৬শে নভেম্বর প্রথম বারের মতো ভারত নিয়ে মুখ খোলেন রুহুল কবির রিজভী।
ঢাকার বনানীতে অবরোধের সমর্থনে এক সমাবেশে তিনি বলেন “ভারতের উচিত বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, সেটিকে সমর্থন দেওয়া।”
“ভারত সরকার ও তাদের দেশের রাজনীতিবিদদের বোঝা উচিত, বাংলাদেশের জনগণ কেন তাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সমর্থন দিয়ে তারা বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে,” সমাবেশে বলেন তিনি।
এরপর শুক্রবার পহেলা ডিসেম্বর দলের পক্ষে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে ভারত প্রসঙ্গে আবারো কথা বলেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন শেখ হাসিনার পক্ষে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে রাশিয়া, চীন এবং ভারত। রাশিয়া-চীনে তো গণতন্ত্র নেই।
“আমাদের কাছের প্রতিবেশী ভারত, যে রাষ্ট্রটি গণতান্ত্রিক। যেখানে গণতন্ত্রের ঐতিহ্য আছে। সেই ভারত সরকার সরাসরি কীভাবে একটি অগণতান্ত্রিক ‘মনস্টার স্বৈরাচারে’র পক্ষে অবস্থান নেয়? তারা মুখে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে আছে বললেও তারা ১৮ কোটি জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যা অতীব দুঃখজনক,” সংবাদ সম্মেলনে বলেন তিনি।
কিন্তু এটি কি তার নিজের বক্তব্য নাকি দলের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য– এমন প্রশ্নের জবাবে মি. রিজভী বলেন, “এটিই এখন বাংলাদেশে বিএনপিসহ সবার বক্তব্য।”
“বিশ্বের গণতন্ত্রকামী দেশগুলো বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান জানিয়েছে। আমরা মনে করি ভারত সেটি করতে পারেনি,” বলছিলেন তিনি।
কিন্তু ভারত তো বলেছে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সেদেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। এরপরেও বিএনপি কেন ভারতকে দায়ী করছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পলিসি লেভেল থেকে যাই বলা হোক, স্থানীয়ভাবে তাদের কর্মকাণ্ড আমরা দেখছি এবং জনগণ মনে করে ভারতের কারণেই সরকার ভোটারবিহীন নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে”।