সারাদিনে যতকিছুই খান না কেন, অন্তত একবেলা ভাত না খেলে মন কেমন করে- এই হলো বাঙালির বৈশিষ্ট্য। বেশিরভাগ বাঙালিরই প্রিয় খাবার হলো গরম ধোয়া ওঠা ভাতের সঙ্গে ঝাল ঝাল মাছের ঝোল। আধুনিক সময়ে আমাদের খাদ্যাভাস অনেকটাই বদলে গেছে হয়তো, কিন্তু ভাতে অভ্যাস্ততার বিষয়টি এখনও রয়েছে। তবে বাঙালির খাবারের তালিকায় রয়েছে রুটিও। রুটি সম্পূর্ণ গমের আটা বা অন্যান্য গোটা শস্যের আটা থেকে তৈরি করা হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ভাত ও রুটি মধ্যে কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী-
ভাত ও রুটিতে ক্যালরির পরিমাণ প্রায় সমান, অর্থাৎ দুটোই খেলে প্রায় সমান ক্যালরি পাওয়া যায়। কিন্তু ডায়াবেটিসের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করার সময় ক্যালরির দিকে বেশি নজর দেওয়া হয়। তাই আপনি দিনে খাবারের মাধ্যমে কত ক্যালোরি গ্রহণ করছেন সেদিকে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
পুষ্টিবিদরা মনে করেন, কার্বোহাইড্রেট খেলে ওজন বাড়ে না। শরীরে শক্তি ধরে রাখার পাশাপাশি কার্বোহাইড্রেট চর্বি হজম করতে সাহায্য করে। গোটা শস্য, ব্রাউন রাইস আর মসুর ডাল মেদ কমাতে সাহায্য করে। আমাদের প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তত ৬০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার থাকা উচিত।
রুটি আর ভাতে থাকা কার্বোহাইড্রেটের তুলনামূলক পরিমাণ
চাল পালিশ করার সময় ফাইবার বেরিয়ে যায়। এতে খারাপ কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই বেশি ভাত খেলে শরীরে ইনসুলিন বাড়তে পারে। এতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। যাইহোক, ভাতে উপস্থিত অ্যামাইলোপেকটিন হজম করা সহজ আর এটি শিশুদের জন্য একটি পছন্দের সহজপাচ্য উপাদান। পাশাপাশি, ভাতের চেয়ে রুটিতে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়। রুটিতে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। প্রোটিনের সংখ্যা সম্পর্কে কথা বললে, উভয়ের মধ্যে প্রায় সমান পরিমাণ পাওয়া যায়।
ভাত ও রুটির মধ্যে কোনটি-কখন খাবেন?
রুটি আর ভাত দুটোই স্বাস্থ্যকর। এই দুটি থেকেই শরীর শক্তি আর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়। তবে রুটি আর ভাতের পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আধা বাটি ভাত আর চারটি রুটি খাওয়া একটি ভালো বিকল্প। যেহেতু ভাতে উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে, তাই এটি বেশি খেলে সুগারের মাত্রা বাড়তে পারে।