আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর) আসনে এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমান সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। এই আসনে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও আসন্ন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফর উল্যাহ।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা শেষে সাংবাদিকদের নিক্সন চৌধুরী অভিযোগ করেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের নৌকার প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহর লোকজন ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। জাফর উল্যাহ সাহেব আমার এলাকায় ভোটের জন্য দেউলিয়া। সে তার নেতা-কর্মীদের বলে প্রশাসন দিয়ে ব্যবস্থা নেবে। জাফর উল্যাহ সাহেব প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলেও সেটা উনি পারবে না। ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। আমি আশাবাদী, নির্বাচন একশ ভাগ সুষ্ঠু হবে।’
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. কামরুল আহসান তালুকদারের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দেন মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।
এর আগে নিজ নির্বাচনী এলাকা থেকে চার শতাধিক মাইক্রোবাস, পিকআপ ও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে জেলা শহরে আসেন। বহরে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন। পরে জেলা পরিষদের পাশে গাড়ির বহর থামিয়ে মিছিল নিয়ে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান।
অভিযোগের বিষয়ে কাজী জাফর উল্যাহর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলে রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দলীয় কোনো চাপ আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দলীয় কোনো চাপ আমি মনে করি না। আমার এলাকার মানুষের মনোভাব কেন্দ্রীয় নেতারা পর্যন্ত জানেন এবং বুঝেন। অতএব, তারা জনগণের বিপক্ষে যাবে না। আমাকে কোনো চাপও দেবে না।’
নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যে প্রার্থী সে আসলে সব সময় জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তবে আমি একা আশাবাদী না, আমার তিন থানার সব মানুষ আশাবাদী। উন্নয়নের পক্ষে জয় হবে। কোভিডের সময় জনগণের পাশে যারা ছিল, তাদেরই জয় হবে। ইনশা আল্লাহ জয় হবে, এবার হ্যাটট্রিকও হবে।’
মনোনয়নপত্র জমাদানকালে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, সদরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান, চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ মোহাম্মদ কাউসার, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহিদিত গামাল লিপু, জেলা পরিষদের সদস্য এখলাস ফকির, চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক আনোয়ার আলী মোল্যা, তিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানসহ অনেকে।