ব্রিটেনের রাজা-রানিদের ইতিহাস প্রায় ১,২০০ বছরের। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পরিধি দিন দিন আগের তুলনায় অনেক ছোট হয়ে আসলেও তাদের রাজপরিবারকে নিয়ে মানুষের আগ্রহের কোনো কমতি নেই।
তবে রাজ পরিবারের সাথে প্রিন্স হ্যারি সম্পর্ক ছিন্নের পর থেকেই যেন সংকট শুরু হয়েছে পরিবারটিতে। এছাড়া পরিবারের সাথে সম্পর্ক, রাজ পরিবারের ভেতরের একাধিক ঘটনা নেটফ্লিক্সের সিরিজে তুলে ধরেন হ্যারি।
তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রিন্স হ্যারির লেখা আত্মকথা ‘স্পেয়ার’-এ এ পরিবার নিয়ে বিভিন্ন বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করেন তিনি।
এবার ব্রিটিশ পরিবারের সংকট নিয়ে বই বের করলেন একজন ব্রিটিশ সাংবাদিক ও লেখক ওমিড উইলিয়াম স্কোবি। মঙ্গলবার প্রকাশিত এন্ডগেম বইটিতে দাবি করা হয়েছে যে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের ভবিষ্যত “একটি সংকটের মধ্যে” এবং এটি “বেঁচে থাকার লড়াই” এর মধ্যে রয়েছে।
মূলত বইটিতে প্রিন্স হ্যারি এবং মেগানের যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার সময়, প্রয়াত রানীর মৃত্যু এবং রাজা চার্লসের নতুন রাজত্বের মধ্য দিয়ে পারিবারিক উত্তেজনা এবং প্রাসাদের অন্দরমহলের সংকটের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
স্কোবির এন্ডগেম বইতে মূলত রাজপরিবারের সংকটসহ বেশকিছু কথা তুলে করা হয়েছে যা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। এ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা দ্যা গার্ডিয়ান।
হ্যারি এবং মেঘানের পুত্র আর্চির ত্বকের রঙ নিয়ে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করা পরিবারের সদস্যদের নিয়েও আলোচনা হয় বইটিতে। যদিও সদস্যদের না প্রকাশ করা হয়নি।
বইটিতে দাবি করা হয় যে রাজবংশের উত্তরাধিকারী প্রিন্স উইলিয়ামের কাজে বিরক্ত তার পিতা রাজা উইলিয়াম চার্লস। এছাড়া বইতে উইলিয়ামকে “গরম মাথার” মানুষ হিসেবে বলা হয়। এছাড়া বাবার উপর আস্থা নেই প্রিন্স উইলিয়ামের এমন বিস্ফোরক দাবিও করা হয়েছে বইটিতে।
এন্ডগেমে প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্স উইলিয়াম, দুই ভাইয়ের মনোমালিন্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। উইলিয়াম বিশ্বাস করেন যে হ্যারিকে ‘থেরাপিস্ট দ্বারা ব্রেইন ওয়াশ’ করা হয়েছে। বইটিতে আরও বলা হয় প্রয়াত রানী এলিজাবেথ মারা যাওয়ার দিন উইলিয়াম হ্যারির পাঠানো টেক্সটও উপেক্ষা করেছিলেন, যার ফলে হ্যারিকে বালমোরালে যাওয়ার জন্য বিমান ভাড়া করতে হয়েছিল।