নেতারা বলছেন, বিএনপির অবস্থান বদল না হলে আওয়ামী লীগ চায় জোটের দলগুলো আলাদাভাবে যাতে নির্বাচনে অংশ নেয়; সেই অনুযায়ীই নির্ধারণ হবে কৌশল।
ঢাকার ইস্কাটনে জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর বাসভবনে গত জুলাইয়ে এক বৈঠকে ১৪ দলের জোটের নেতারা।
বিএনপির বর্জনের সিদ্ধান্তে অটল থাকার মধ্যে নিজেদের নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থীতা উন্মুক্ত করে দিতে আওয়ামী লীগের ইঙ্গিত ভোটের আলোচনায় দিয়েছে নতুন মাত্রা; নির্বাচনের হিসাব নিকাশে জোটের ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়েও আগ্রহ আর কৌতুহল রয়েছে এ সময়ের রাজনীতিতে।
দলীয় পার্থীর তালিকা প্রকাশের পর এ নিয়ে নানান আলোচনার মধ্যে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের জোটের আগ্রহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দুটি ছাড়া ২৯৮টি আসনে নিজেদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। তাদের পাশাপাশি ডামি প্রার্থী রাখার কথাও বলেছেন দলীয় প্রধান। এরপর এখন পর্যন্ত ভোট থেকে দূরে থাকতে অনড় বিএনপিবিহীন ভোটে নৌকা না পাওয়া অনেকেই প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু করেছেন।
এমন প্রেক্ষাপটে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রার্থীতা ঘোষণা করার দুই দিন আগে নির্বাচনি ট্রেনে কাকে কতটি আসনে ছাড় দেবে আওয়ামী লীগ তা এখনও চূড়ান্ত করেনি।
তবে ৭ জানুয়ারির ভোটে আগের তিন সংসদ নির্বাচনের মতো এবারও দলটি জোট করেই নির্বাচন করবে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলটি নেতারা। মঙ্গলবার দলের দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও এবার জোট হবে বলে তাদের বক্তব্যে জানিয়েছেন।
তবে ঢাকা ৮ এ একাদশ সংসদে জোটের হয়ে জিতে আসা বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের আসনে বাহাউদ্দিন নাছিমকে প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ। আবার কুষ্টিয়া ২ এ জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর আসন ফাঁকা রেখেছে আওয়ামী লীগ। জোটের প্রার্থীতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে এ দুটি বিষয়ও এখন আলোচনা তৈরি করেছে।
বিএনপির অবস্থান বদল না হলে আওয়ামী লীগ চায় জোটের দলগুলো আলাদাভাবে যাতে নির্বাচনে অংশ নেয়। এতে নির্বাচনে স্বতস্ফূর্ততা আসবে বলে মনে করছেন নেতারা। এ কারণে ১৪ দলের জোটে থাকা দলগুলোকে তাদের প্রার্থীদের আলাদাভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে বলেছে। জোটের অংশী দল তরিকত ফেডারেশন ইতোমধ্যে ১২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। অন্য দলগুলোও বাকি দুই দিনে পৃথকভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন বলে জোটের নেতারা আলোচনা করে একমত হয়েছেন।
অন্যদিকে নিবন্ধন না থাকা গণতান্ত্রিক লীগ ও বাসদের একাংশও জোটের অংশ হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে বলে আগে থেকে আলোচনা করে রেখেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের জোট। এ জন্য তাদের আলাদাভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
দল ও জোটের মধ্যে এবার বিএনপি না এলে ভোট জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করার বিষয়ে ভিন্ন আলোচনার কথা ভাবা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন নেতারা। ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নাও আসতে পারে বলে বলছেন কেউ কেউ।
অপরদিকে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন নিয়ে সমঝোতা করার বিষয়টি সুষ্পষ্ট করা নিয়েও আলোচনা চলছে। প্রার্থীতা জানানোর পর এবং প্রার্থী প্রত্যাহারের আগেভাগেই এগুলো চূড়ান্ত করা হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখ শেষ হওয়ার আগের এ দুই দিনে বিএনপি কী করে তা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নেতারা।
জোটের বিষয়ে নেতারা বলছেন আসন ভাগাভাগির নানান আলোচনা চললেও তা আনুষ্ঠানিক রূপ পেতে আরও সপ্তাহ খানেক অপেক্ষা করতে হবে। সমঝোতার পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে ডিসেম্বরের ৫ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে। এরপরই নৌকার প্রার্থীরা কৌশল বুঝে ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবে।
অন্যদিকে জোটের নেতারা বলছেন, ১৪ দলের জোটের প্রধান নেতা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় তারা আছেন। ভোটে অংশ নেওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর দক্ষতা ও যোগ্যতা, স্থানীয় পর্যায়ে তাদের গ্রহণযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তা বিবেচনায় নিয়ে আসন ভাগাভাগির টেবিলে বসবেন তারা।
তবে সংশ্লিষ্ট দলগুলোর মাঠপর্যায়ের ভিত্তি, সক্ষমতা এবং সামর্থ্যরে বিষয়টিও পরখ করে দেখতে চায় ক্ষমতাসীনরা।
কারা এবার নৌকা চায়
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মোট ১০টি দলের পক্ষ থেকে জোটবদ্ধ হওয়ার কথা জানিয়ে চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এর মধ্যে ৯টিই গত নির্বাচনে মহাজোট নামে জোট গঠন করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে মোকাবিলা করেছিল।
আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দলগুলো হলো জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ ও তরিকত ফেডারেশন।
জোটভুক্ত হয়ে এসব দল নৌকা প্রতীক ব্যবহার করতে চায় বলে গত ১৮ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে।
আওয়ামী লীগও বলেছে, জোটভুক্ত হলে শরিকরা নিজেদের প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে বা নৌকা প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে।
জোটের আসন ভাগাভাগি কীভাবে, অপেক্ষা আরও এক সপ্তাহ
এছাড়া এনপিপি, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ন্যাপ, জাতীয় পার্টি, বিএনএফ, তৃণমূল বিএনপি, বিএসপিও আলাদা আলাদা ইসিতে চিঠি দিয়েছে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “জোটে ভোটের বিষয়ে অনেকগুলো দল চিঠি দিয়েছে। সবগুলো পযালোচনা করে ৩০ নভেম্বরের পর জানানো যাবে।”
একাদশের সংসদে নির্বাচনে যেমন ছিল জোটের জন্য ছাড়
আগের ২০১৮ সালে ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৭২ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিল। আওয়ামী লীগের ২৫৮ জনের পাশাপাশি ওয়ার্কার্স পার্টির পাঁচ, জাসদের তিন, তরিকত ফেডারেশনের দুই, বাংলাদেশ জাসদের এক ও বিকল্পধারার তিনজন নৌকা প্রতীকে ভোট করে।
জোটের অন্য শরিক জাতীয় পার্টির (জেপি) দুইজন দলীয় প্রতীক ‘বাই সাইকেল’ নিয়ে ভোটে থাকে।
আওয়ামী লীগ তাদের জোটের বড় শরিক জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের জন্য ২৬টি আসন ছেড়ে দিলেও এর বাইরে প্রায় দেড়শ আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ছিল।
এর আগে ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনও নৌকা প্রতীক ব্যবহার করে।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চালু হওয়ার পর ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি জোটের বড় দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকেই ভোটে অংশ নেয়।
সময় আছে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত: কাদের
বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা ও সরকার হটানোর যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিক দলগুলো নির্বাচনে না আসার বিষয়ে এখনও অনড়; জোট করে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সেই বিষয়টা মাথায় নিয়ে এগোচ্ছে ক্ষমতাসীনরা।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে দলের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির কেউ কেউ নির্বাচনে আসতে পারেন। কেউ কেউ প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। মনোনয়ন ফরম সেটাতো জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট ৩০ তারিখ, কাল বাদে পরশু। এর মধ্যেই তো পরিষ্কার হয়ে যাবে কারা আসবে।
“তারা কারা কারা প্রার্থী সেটা আমরা দেখি। আমাদের হাতে কিন্তু সময় আছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের হাতে সময় আছে। এর মধ্যে আমরা অবজার্ভ করব, মনিটর করব, এডজাস্টমেন্ট করবো, একোমোডেট করব। ডামি ক্যান্ডিডেটের ব্যাপারেও বিষয়টা এরকম ১৭ তারিখের মধ্যে সবকিছু ফাইনালাইজড হয়ে যাবে।”
জোটের সঙ্গে সমঝোতা হলে কী করবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা কথা বলি, আমরা ৩০০ আসনেই নৌকা দিব। অ্যাডজাস্টমেন্ট যখন হবে তখন ছেড়ে দেব। কোনো অসুবিধা নেই।
২০০৮ সাল থেকে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করছে আওয়ামী লীগ। গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের মতো দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করার কথা বলে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও।
এরমধ্যে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা প্রথমবারের মতো ১৪ দল জোটগতভাবে অংশ নেয়।
ওই নির্বাচনের একেবারে শেষ মুহূর্তে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটভুক্ত হয়, যা পরে মহাজোটে রূপ নেয়। বিএনপি ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি।
পরে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ১৪ দল জোটগতভাবে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ। অপরদিকে জাতীয় পার্টি আলাদাভাবে ভোটে অংশ নেয়। বিএনপিবিহীন ওই নির্বাচনেও শেষ মুহূর্তে এসে আসন সমঝোতা করে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি।
এবারের জোট নিয়ে কী বলছেন নেতারা
আসন সমঝোতার বিষয়ে জানতে চাইলে চৌদ্দ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমু জানিয়েছেন এখনও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসেনি।
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরুল্লাহ এখন তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যস্ত। এ বিষয়ে পরে কথা বলার কথা জানান।
জোটের আরেক নেতা জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা জোট গতভাবে নির্বাচনে যাচ্ছি সেটা পরিষ্কার। ১৪ দলীয় জোটের সবশেষ সভায়ও সেই সিদ্ধান্তই হয়েছে।
“আসন ভাগাভাগির বিষয়টা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের জোট নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি ১৪ দলের সঙ্গে বসে সেটা ঠিক করবেন।”
কবে সিদ্দান্ত আসতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরাও সেই অপেক্ষায় আছি, প্রধানমন্ত্রী যখন বসবেন আমাদের নিয়ে তখন যাবে।
১৪ দলীয় জোটের শরিক তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজবান্ডারী বলেন, “জোট স্বাধীনতার পক্ষে শক্তিশালীভাবে ঐক্যবদ্ধ। ১৪ দলের কে কোন আসন পাবে সেই বিষয়ের সমাধান তো এখন নয়। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরে ১৪ দলীয় নেতারা বসে ঠিক করবেন। আর সেটা ১০ তারিখের মধ্যেই হবে।
চৌদ্দ দলীয় জোটের মুল নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনি সবাইকে নিয়ে বসেই সিদ্দান্ত দেবেন। আমরা ১৩ টা চেয়েছি, আশা করছি ভালো কিছু আসনই পাবো।
কী বলছেন আওয়ামী লীগ নেতারা
আওয়ামী লীগ জোটগতভাবে নির্বাচন করবে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেছেন, জোটভুক্ত দলগুলোর সঙ্গে এখনও সমন্বয় না হওয়ায় প্রায় আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
সংসদীয় ২৯৮টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করলেও জোটভুক্ত দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পর আসন সমন্বয় করা হবে বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আগের তিন নির্বাচনে দলের জোট করে ভোট করার কথা তুলে ধরে বলেন, “২০০৮ সালেও আমরা জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করেছিলাম, সেবারও কিন্তু প্রায় ৩০০ আসনে নমিনেশন দেওয়া হয়েছিল। পরে মহাজোটের মধ্যে সমন্বয় করা হয়েছিল।
“গতবারও প্রায় সব আসনে নমিনেশন দিয়ে পরে জোটের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছিল। এখনও ২৯৮ সিটে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রথমেই বলেছি, আমরা জোটবদ্ধ নির্বাচন করব, সেটি কিন্তু আমাদের দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।”
আওয়ামী লীগ ১৪ দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ভোটে নামা ছাড়াও জোটের অন্যান্য দলের সঙ্গে প্রয়োজনে সমন্বয় করে আসন ঠিক করবে বলে জানান হাছান মাহমুদ।
“নমিনেশন দিলেও জোটের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে, কোন জায়গায় কিভাবে করা হবে সেটি যেহেতু ঠিক করা হয়নি সেজন্য সব আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। পরে জোটের সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা ১৪ দলীয় জোটগতভাবে নির্বাচন করব। এছাড়া অন্যান্যদের সঙ্গে যদি সমন্বয় করতে হয় সেটিও করা হবে।”
ঢাকা-৮ আসনে বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের জায়গায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে মনোনয়ন দেওয়ায় কোনো ধরনের ‘বিব্রতকর’ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কিনা প্রশ্নে হাছান বলেন, “অবশ্যই নয়। জোটের নেতারা কোথায় নির্বাচন করবে এবং তাদের সাথে আমাদের সমঝোতা, সমন্বয় হবে তখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
আগামী ৭ জানুয়ারির ভোটকে সামনে রেখে গত ১৮ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত চার দিন মনোনয়নে আগ্রহীদের কাছে ফরম বিক্রি করে ক্ষমতাসীন দল। পরে রোববার আওয়ামী লীগ কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ ফাঁকা রেখে ২৯৮টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা করেছে।
আওয়ামী লীগ ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে রয়েছে জানিয়ে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, জোটের ভিত্তিতেই তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন।
তিনি বলেন, “১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়। এই সময়ের মধ্যে ১৪ দলীয় জোটের বিষয়ে কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ নিয়ে হতাশ বা বিভ্রান্তির কিছু নেই। ১৪ দলীয় জোটে যারা আছে তাদেরকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে।”