আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এক সেলফি দিল্লিতে আরেক সেলফি নিউইয়র্কে। শেখ হাসিনা আর পুতুলের সঙ্গে জো বাইডেনের সেলফিতে দিল্লিতে বাজিমাত, এরপর নিউইয়র্ক। কোথায় স্যাংশনস কোথায় ভিসানীতি। তলে তলে সব আপস হয়ে গেছে। কেউ আর স্যাংশনস দেবে না। দিল্লি আছে আমেরিকাও আছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আমিনবাজারে অনুষ্ঠিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। কাদের বলেন, দিল্লির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আছে। আমরা দিল্লির সঙ্গে আছি। প্রধানমন্ত্রী সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের মাধ্যমে ভারসাম্য করে ফেলেছেন। আর কোনো চিন্তা নেই। নির্বাচন হবে। যথাসময়ে শেখ হাসিনার অধীনেই হবে।
৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম বুড়িগঙ্গায় পড়ে গেছে। আগামী মাসে খেলা শুরু হবে। বিএনপি ফাউল করছে। তারা ফাউল করলে হলুদ আর লাল কার্ড খাবে। তারা নাকি খালেদাকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি এতদিন কোথায় ছিল। খালেদা বছরের পর বছর জেলে ছিলেন তখন ফখরুল তার জন্য একটি আন্দোলনও করতে পারলেন না। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ভিসানীতি পরোয়া করি না। আমরা তো সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই তাহলে কীসের ভিসানীতি।
নিষেধাজ্ঞা দেবে কেন। বিএনপির কোমর ভেঙে গেছে তারা নির্বাচন করলে হারবে। সেই ভয়ে বাধা দিচ্ছে। মির্জা ফখরুলের গলার আওয়াজ কমে গেছে। তাদের লোকজনও কমে যাচ্ছে। মানুষ জানে তাদের লাফালাফি জনগণের জন্য নয়। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, জিনিসপত্রের দাম এখন একটু বেশি। সারা দুনিয়ায় একটু বেশি থাকায় দাম বেড়েছে।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ আরও অনেকে।