চীনের তৃতীয় ঘনবসতিপূর্ণ প্রদেশ হেনানের প্রায় সবাই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। অংকের হিসাব ধরলে প্রদেশটির ৯০ শতাংশ লোকের শরীরে এখন প্রাণঘাতী এই ভাইরাস বাসা বেঁধেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে গতকাল এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
গত ডিসেম্বরের শুরুতে জিরো কোভিড নীতি বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হয়েছে চীন। সেই সময় একটি ভবনে অগ্নিকা-ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চীনে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়।
সাধারণত চীনে সরকারবিরোধী আন্দোলন বেশ বিরল। তবে ওই বিক্ষোভের পরপরই কর্তৃপক্ষ করোনার বিধিনিষেধ শিথিল করতে থাকে। শুধু তাই নয়, জিরো কোভিড নীতি থেকেও সরে আসে বেইজিং।এদিকে তথ্য বলছে, গত সপ্তাহে চীনের সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ডিসেম্বরের শুরুতে চীন কোভিড নীতি শিথিল করার পর থেকে দেশটিতে মাত্র ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছে এবং ৩০ জন মারা গেছে।
প্রাদেশিক কর্মকর্তা ক্যান কোয়ানচ্যান এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, প্রদেশের ৮৮.৫ মিলিয়ন লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে কর্মকর্তা ক্যান নির্দিষ্ট করে বলেননি যে, কোন সময় থেকে কোন সময় পর্যন্ত এসব লোক আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক সপ্তাহ আগে সংক্রমণের এই উচ্চহার দেখা দিয়েছিল। তার কথা অনুযায়ী- তিনি হেনান প্রদেশে একটি ক্লিনিক পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন ১৯ ডিসেম্বর। সেই সময় সেখানে সংক্রমণের ‘পিক’ চলছিল। এদিকে জিরো কোভিড নীতি তুলে নেওয়ায় বেশ চাপে রয়েছে চীন।
সংক্রমণের এমন উল্লম্ফনের মধ্যে গত রবিবার সীমান্ত খুলে দিয়েছে জনবহুল এই দেশটি। এ নিয়েও চীনের সমালোচনা করছে অনেক দেশ। ইতোমধ্যে প্রায় ডজনখানেক দেশ চীন থেকে যাওয়া যাত্রীদের করোনার নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করেছে। এতে উল্টো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেইজিং।