অভিনেতা শরিফুল রাজের সঙ্গে চিত্রনায়িকা পরীমনির বিচ্ছেদের খবর আসে শুক্রবার দিবাগত রাতে। হঠাৎই নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে সংসার জীবনের ইতি টানার কথা জানিয়েছিলেন।
শিগগিরই তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠাবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তারপর শনিবার রাতে পরীমনি জানান, অভিমান ভুলে রাজের কাছে ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু এর কয়েকঘণ্টা পর মধ্যরাতে ফেসবুকে রক্তাক্ত বিছানা ও কোলবালিশের ছবি প্রকাশ করেন তিনি। ক্যাপশনে লেখেন, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার।আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন, লোডিং…।
গত বছরের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ের পর খবরটি প্রকাশ্যে এনেছেন এ বছরের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। চলতি বছরের ১০ আগস্ট তাদের কোলজুড়ে আসে পুত্র সন্তান রাজ্য।
গত শুক্রবার মধ্যরাতে ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নেই।’
পোস্টের পর যোগাযোগ করা হলে পরীমনি বলেন, ‘এখনো বিচ্ছেদ হয়নি, তবে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করে রাজের বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছি। আজ থেকে আমরা আলাদা হয়ে গেলাম। শিগগির বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়ে দেব।
বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল। সমস্যা কাটিয়ে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি, পারলাম না। তাঁর আচার-আচরণ একসঙ্গে থাকার পরিস্থিতিতে নেই। তাই বাধ্য হয়ে বাসা ছেড়ে আলাদা হয়ে গেলাম।’ যদিও গতকাল শনিবার রাতে পরীমনি জানিয়েছিলেন স্বস্তির সংবাদ। তিনি মান-অভিমান ভুলে আবারও রাজের সঙ্গে আছেন বলেই প্রকাশ করেন।
তবে কয়েক ঘণ্টা পরই ফেসবুকে তিনি নতুন একটি পোস্ট দেন। এর সঙ্গে দুটি ছবিও শেয়ার করেছেন পরী। যে ছবিতে রক্তের উপস্থিতি।সকাল ছয়টায় পরীমনির পোস্ট করা ছবি দুটি নতুন করে নতুন জটিলতার আভাস দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। কী হয়েছে পরীর?
পরীমনির ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের সূত্রে জানা যায়, দুজনের সংসারজীবন ভালো যে কাটছিল না, এটা শুধু এত দিন তাঁদের কাছের মানুষেরা জানতেন। তাঁরা নানাভাবে দুজনকে বুঝিয়েছেনও। নিজেরাও নিজেদের মতো করে চেষ্টা করেছেন সম্পর্কটাকে এগিয়ে নিতে। কিন্তু কিছুতেই যেন তা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
দুজনের সম্পর্কের অবণতির কারণে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা পর্যন্তও ঘটে। এমনও শোনা গেছে, কয়েক দিন আগে পরীমনির হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণটাও সম্পর্কের অবণতিতে হয়েছে। ডান হাতের আঙুলে চিড় নিয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।
চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে রাজ-পরীর সম্পর্কের খবর। গত ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০১ টাকার দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে তাঁদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। ২১ জানুয়ারি হয় তাঁদের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান। রাজ-পরীর ঘরে রাজ্য নামের এক ছেলেসন্তান আছে। তার বয়স চার মাস পার হচ্ছে।