বন্ধুর কাছ থেকে ৩৩ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন রাঙ্গুনিয়ার তপু মালাকার (৩২)। সময়মতো ধারের টাকা পরিশোধ না করায় বন্ধুরা মিলে তাঁকে হত্যা করেন। ঘটনাটি গত বছরের জানুয়ারি মাসের। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিহত তপুর দুই বন্ধুর জবানবন্দিতে এ তথ্য উঠে আসে। আসামিরা হলেন সুবল মালাকার ও বাপ্পা চৌধুরী।
পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, জবানবন্দি দেওয়ার পর দুই আসামিকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মামলার অপর আসাম জনি মালাকার পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানায়, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি নিখোঁজ হন রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নের তপু মালাকার। নিখোঁজের চার দিন পর স্থানীয় মুকুন্দ চেয়ারম্যান বাড়ির পুকুর থেকে তপুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা করে তাঁর পরিবার। পরে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা যায়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
এরপর রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। তারা মামলাটির কূলকিনারা করতে না পারায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত শুরু করে। গত ৩১ জুলাই আদালতে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় ডিবি পুলিশ। প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) গত ২৪ সেপ্টেম্বর অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
এরপর মামলাটির অধিকতর তদন্তে নামে পিবিআই। ৯ ডিসেম্বর আসামি সুবল মালাকার ও বাপ্পা চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে তারা। পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাঁরা তপুকে খুনের কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁদের আদালতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আসামিরা বলেন, তপুর কাছে ৩৩ হাজার টাকা পেতেন জনি মালাকার নামের আরেক বন্ধু। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় ঘটনার দিন গাছের ডাল দিয়ে তপুর মাথায় আঘাত করেন জনি। ওই সময় মাটিতে পড়ে যান তপু। পরে তিন বন্ধু মিলে তপুকে শ্বাসরোধে খুন করেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে লাশটি পুকুরে ফেলে দেন তাঁরা।