রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে দলে দলে সমবেত হচ্ছেন বিএনপির নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা। আগামীকাল শনিবারের সমাবেশ সামনে রেখে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ খেলার মাঠটির প্রায় অর্ধেক ভরে গেছে। এর ঘণ্টাখানেক পর সমাবেশের মাঠে শুরু হয় মঞ্চ নির্মাণের কাজ।
আগামীকাল সকাল ১১টায় এই মাঠেই সমাবেশ করবে বিএনপি। আজ বিকেলে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে দলটির নেতা–কর্মীরা ওই মাঠে আসতে থাকেন।মানিকনগর থেকে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মাঠে আসেন মো. মামুন।তিনি বলেন, সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে তিনি দেখতে পান, অনেক নেতা–কর্মী গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হয়েছেন। পরে তাঁদের সঙ্গে যোগ দিতে তিনিও এসেছেন।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে কিছুটা উত্তরে সমাবেশস্থলের মাঠটির অবস্থান। সন্ধ্যায় দেখা গেছে, কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ বিএনপির নেতা–কর্মীরা মাঠের পশ্চিম অংশে অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা। সন্ধ্যা নাগাদ মাঠে মাইকের কোনো ব্যবস্থা হয়নি।
এ ছাড়া মাঠের চারপাশে ল্যাম্পপোস্ট থাকলেও সেগুলোতে বাতি নেই। তবে গ্যালারিতে একাধিক বাতি দেখা গেছে। অবশ্য সন্ধ্যার পর মাঠে আলো স্বল্পতার সমস্যা অনেকটা কেটে যায়। গ্যালারির ঠিক সামনে দাঁড়িয়ে কর্মীদের উজ্জীবিত করতে স্লোগান দিতে দেখা গেছে, বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান ও নিপুণ রায় চৌধুরীকে।
মাঠের পাশাপাশি মাঠের চারপাশের রাস্তায়ও নেতা–কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। মাঠের পাশে ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারের সামনেও বেশকিছু মানুষকে জমায়েত হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া কয়েক মিনিট পরপর দল বেঁধে মাঠে ঢুকছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কর্মী–সমর্থকেরা। তাঁরা খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার নামে স্লোগান দিচ্ছেন। এ ছাড়া বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন।
কেরানীগঞ্জ থেকে এসেছেন মো. খোকন। নিজেকে বিএনপির সমর্থক দাবি করে খোকন বলেন, বিকেল চারটার দিকে তিনি জানতে পারেন, গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ হবে। তারপর তিনি এই মাঠের দিকে রওনা দেন। পথে কেউ বাধা দিয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এক জায়গায় পুলিশ আটকে জানতে চেয়েছিল, কোথায় যাচ্ছি। বলেছি, সামনে যাব, আর কিছু বলেনি।’মো. মানিক নামে আরেকজন বলেন, ‘চারপাশ দিয়ে মানুষ ঢুকছে, কেউ আটকাতে পারবে না।’