বিএনপি জোর করে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেছেন, নয়াপল্টনে সমাবেশ করে কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে দেওয়া হবে না। জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে বিএনপিকে চারটি বিকল্প জায়গার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও পত্রিকা মারফত জানা গেছে, বিএনপি ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটাতে চায়। নয়াপল্টনে ১০ হাজারের বেশি লোকের জায়গা হবে না। জনদুর্ভোগ ও বিশৃঙ্খলা পুরো রাজধানীতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিকল্প জায়গা হিসেবে বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়।
আজ বুধবার বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশের স্থান প্রসঙ্গে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সমাবেশের স্থান নিয়ে এখনো বিএনপি ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে ঐকমত্য হয়নি।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে আগ্রহী নয়। মিরপুর কালশী মাঠ, পূর্বাচল, টঙ্গী ইজতেমা ময়দান ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা কোথাও বড় মাঠ পেলে বিএনপি সমাবেশ করতে পারবে। নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। জোর করে সমাবেশ করতে চাইলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করে। কিন্তু পুলিশ তাদের ২৬ শর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেয়। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে বিতর্ক চলছে।
জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলের নেতা-কর্মীদের গুলি করে হত্যার প্রতিবাদ এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি ৯টি বিভাগীয় (সাংগঠনিক বিভাগসহ) গণসমাবেশের আয়োজন করেছে। সর্বশেষ গণসমাবেশ হবে ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর। এ সমাবেশের স্থান নিয়ে এখন মুখোমুখি অবস্থানে সরকার ও বিএনপি।