১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশে খালেদা জিয়ার যাওয়া না–যাওয়ার আলোচনা অবাস্তব, উদ্ভট ও অলীক চিন্তা বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি, আদালত থেকে জামিন পাননি।আজ শুক্রবার চট্টগ্রামের নেভি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সমাবেশের স্থান নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নয়াপল্টনের সামনে ৫০ হাজার মানুষ ধরে। তাদের জনসভায় যে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ হবে না, এটি তারা নিশ্চিত হয়েছে।
আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতা স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। সেখানেই পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। বিএনপি তো পাকিস্তানের দোসর। তাদের মহাসচিব বলেছেন, পাকিস্তানই ভালো ছিল। সেই কারণে এ উদ্যানে সমাবেশ করা তাদের পছন্দ না।’সমাবেশের নামে বিএনপি বিশৃঙ্খলা করতে চায় অভিযোগ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সে কারণেই তারা নয়াপল্টনের সামনে সমাবেশ করতে চায়। কিন্তু সে সুযোগ তাদের দেওয়া হবে না। জনগণই তাদের প্রতিহত করবে।
তথ্যমন্ত্রী ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে দলটির নেতাদের আলোচনা প্রশ্নে বলেন, ‘তিনি নিজের জন্মতারিখ বদলে দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে যেদিন হত্যা করা হয়, সেই দিনে জন্মদিনের কেক কাটেন। এর পরও প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতায় তিনি কারাগারের বাইরে আছেন। এখন যদি তাঁরা (বিএনপি নেতারা) এ রকম চিন্তা করে থাকেন; তাহলে সরকার তাঁকে (খালেদা জিয়াকে) কারাগারে পাঠাতে বাধ্য হবে।’
আগামী রোববার চট্টগ্রামে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসভার প্রস্তুতি বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে পুরো চট্টগ্রামে সাজসাজ রব পড়ে গেছে। ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ–উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, তাতে আমরা নিশ্চিত, এটা স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে।’