এদের সঙ্গে সংলাপ করতে হবে? আলোচনা করতে হবে?
নির্বাচন নিয়ে বড় দুই দলকে আলোচনায় বসতে বিশিষ্টজনদের আহ্বানের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সরাসরি সংলাপের প্রস্তাব নাকচ না করলেও সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন তিনি।শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এ ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এখন ওই দুর্নীতিবাজ, সাজাপ্রাপ্ত, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী আর অর্থ পাচারকারী, অস্ত্র পাচারকারী, গ্রেনেড হামলাকারী, আইভি রহমানের হত্যাকারী আর জিয়াউর রহমান ছিল আমার বাবার হত্যাকারী। এদের সঙ্গে সংলাপ করতে হবে? আলোচনা করতে হবে? আবার মানবাধিকারের কথাও বলে, এটা কেমন ধরনের কথা সেটাই আমি জিজ্ঞেস করি।’
তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলেন সংলাপ করতে হবে, আলোচনা করতে হবে। কিন্তু কাদের সঙ্গে? ওই বিএনপি খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া! সাজাপ্রাপ্ত আসামি! যারা গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। যে খালেদা জিয়া বক্তৃতা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা বিরোধী দলের নেতাও কোনোদিন হবে না, হতে পারবে না। আর আওয়ামী লীগ, ১০০ বছরেও ক্ষমতায় যাবে না।’
আল্লাহতাআলা এই ধরনের গর্বভরা কথা পছন্দ করে না বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, এই ধরনের গর্বভরা কথা বাংলাদেশের মানুষ তো একেবারেই পছন্দ করে না। সেজন্য খালেদা জিয়ার মুখের কথা তার বেলায়ই লেগে গেছে।
মহিলা আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের পর বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে ও গাজীপুর-৪ আসনের এমপি সিমিন হোসেন রিমি এবং মহিলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের নতুন সভাপতি হিসেবে মেহের আফরোজ চুমকি ও নতুন সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলার নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।এর আগে সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এতদিন দায়িত্ব পালন করে আসা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাধীন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র আছে, নির্বাচন কমিশন আছে। যাদের ইচ্ছা নির্বাচন করবে। আর নির্বাচন করার মতো শক্তি যদি কারও না থাকে তাহলে হয়তো করবে না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন করবে। তারা ভোট দেবে। আর ভোট চুরি করলে তারা মেনে নেয় না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগেই একমাত্র এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে, পরপর আমরা তিনবার ক্ষমতায় এসেছি। আজকে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে।’