অপরাধপ্রতারণাবাংলাদেশবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

প্রবাসীদের অর্থ দেশে না এনে সংশ্লিষ্ট দেশে স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধের মাধ্যমে পাচার

মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবা (এমএফএস) ব্যবহার করে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আগস্ট—এ পাঁচ মাসে তিন কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে একটি চক্র। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বলছে, প্রবাসীদের অর্থ বাংলাদেশে না এনে সংশ্লিষ্ট দেশের স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধের মাধ্যমে ওই পাচারের ঘটনা ঘটেছে। এই চক্রের ছয় সদস্যকে গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা ও কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সিআইডি জানায়, কুমিল্লার লাকসামের মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন হাউস জে এ এন্টারপ্রাইজের দুই হাজার এজেন্টের সিমের মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়। সিআইডি সন্দেহজনক দুটি এজেন্ট সিম নিয়ে কাজ করে, যার মাধ্যমে কয়েক মাসে তিন কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। এর সূত্র ধরে আরও ১১টি এজেন্ট সিমের সন্ধান পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে গতকাল দুপুরে ঢাকার মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া জানান, প্রবাসীদের অর্থ বাংলাদেশে না এনে স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধ করতে চক্রের সদস্যরা কয়েকটি ভাগে কাজ করে।

একটি দল বিদেশে অবস্থান করে প্রবাসীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে। দেশ থেকে যারা টাকা বিদেশে পাচার করতে চায়, সেই মুদ্রা তাদের দেয়। দ্বিতীয় দলটি পাচারকারী ও তার সহযোগীদের কাছ থেকে দেশীয় মুদ্রা নিয়ে এমএফএস এজেন্টকে দেয়। তৃতীয় দল (এমএফএস এজেন্ট) প্রবাসীর কাছ থেকে স্বজনের নম্বরে সংগ্রহ করে দেশীয় মুদ্রায় অর্থ পরিশোধ করে।

সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী জানান, দুই হাজার এজেন্ট সিমের মধ্যে বেশ কিছু হুন্ডির সঙ্গে জড়িত। ডিজিটাল হুন্ডির এই প্রক্রিয়া সহজ, নির্ভুল ও দ্রুত করতে তারা কিছু সফটওয়্যারও ব্যবহার করছে।গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন মীর মো. কামরুল হাসান, খোরশেদ আলম, ইব্রাহিম খলিল, কাজী শাহনেওয়াজ, আজিজুল হক তালুকদার ও নিজাম উদ্দিন। অভিযানে ১১টি মুঠোফোন, ১৮টি সিমকার্ড, ১টি ল্যাপটপ ও ১টি ট্যাব উদ্ধার করা হয়েছে।

Back to top button