জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।ছোটপর্দা থেকে বড় পর্দা, সবখানেই অভিনয়ের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন নিজেকে। তাকে ঘিরে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আগ্রহের শেষ নেই। কিন্তু মাঝে ব্যক্তিগত কারণে পর্দায় নিয়মিত দেখা না গেলেও আবার হাজির হচ্ছেন তিনি।আগামী ১৮ নভেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত বিপ্লবী ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমা।
বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে নির্মাণ করা এই সিনেমার মুক্তি উপলক্ষে এখন চলছে প্রচারণা। রবিবার (৬ নভেম্বর) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের স্মৃতিবিজড়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইডেন মহিলা কলেজ থেকে প্রচারণার কার্যক্রম শুরু করা হয়।এ সময় সিনেমার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তিশা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মনোজ প্রামাণিক, সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারসহ অনেকে।
ছবিতে প্রীতিলতা চরিত্রে অভিনয়কারী নুসরাত ইমরোজ তিশা বলেন, ইডেন কলেজের নাম অনেক শুনেছি, প্রথমবার এলাম। আর করোনার পর এই প্রথম এভাবে এতো মানুষের সামনে এলাম। আপনাদের দেখে অনেক ভালো লাগছে। বীরকন্যা প্রীতিলতা ইতিহাস নির্ভর সিনেমা। প্রীতিলতা প্রত্যেকটি নারীর অনুপ্রেরণা। আশা করছি সবাই সিনেমাটি দেখতে হলে যাবেন।
সেখান থেকে অনেক কিছু শিখবেন। সবাই সিনেমাটি দেখলেই আমরা আরও কাজ করার সাহস পাবো। এ সময় ছবিটির নির্মাতা প্রদীপ ঘোষ বলেন, যেহেতু এটা ইতিহাস নির্ভর সিনেমা, আমরা চাই শিক্ষার্থীরাই বেশি দেখুক। সেজন্য আমরা হলগুলোর সঙ্গে আলাপ করছি, যেন অর্ধেক দামে শিক্ষার্থীরা টিকিট কিনতে পারেন। আমাদের ঘরে অর্থ না আসুক, সিনেমাটা অন্তত শিক্ষার্থীরা দেখুক।
অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট রানা দাসগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, এমন সময়ে এ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন যখন দেশের তরুণ প্রজন্ম ইতিহাস ভুলতে বসেছে। এমন সময়ে নির্মাতা বীরকন্যা প্রীতিলতাকে জাতির সামনে তুলে ধরছেন। এতে তরুণ প্রজন্ম ন্যায়-অন্যায় অনুধাবণ করতে পারবে, তারা প্রীতিলতাকে জানতে পারবে।
অনুষ্ঠানে উডেন কলেজের সাবেক ভিপি, শিক্ষাবিদ এ এন রাশেদা প্রীতিলতার লেখা চিঠি পাঠ করেন। প্রচারণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, প্রীতিলতাকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র নতুন প্রজন্মের কাছে আশাবাদের সঞ্চার করবে।এ সিনেমায় বিপ্লবী রামকৃষ্ণের চরিত্রে দেখা যাবে মনোজ প্রামাণিককে।
তিনি বলেন, প্রীতিলতার চরিত্রে একজন নুসরাত ইমরোজ তিশা অভিনয় করেছেন, কিন্তু এখানে হাজারো প্রীতিলতা দেখতে পাচ্ছি। আমার মনে হয়, সিনেমাটি সফল হবে। আপনারা সিনেমাটির সঙ্গে থাকবেন এবং দেখবেন। সিনেমাটি দেখলে ইতিহাসের অনেক কিছু জানা যাবে এবং একজন পরিপূর্ণ মানুষের সমাজ, দেশের প্রতি কী দায়বদ্ধতা রয়েছে সেটি জানা যাবে।