তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের উন্নত জীবন নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য
তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের উন্নত জীবন নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমাদের একমাত্র লক্ষ্য দারিদ্র্যের হাত থেকে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষকে মুক্তি দেওয়া। সে লক্ষ্য কাজ করছে সরকার।সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালে দেশের ২৫ জেলায় ৮৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১০০টি সড়ক সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।আজ যেসব সেতুর উদ্বোধন করা হবে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেতু চট্টগ্রাম বিভাগে। এই বিভাগে ৪৫টি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সবচেয়ে কম কুমিল্লায় একটি সেতু।এছাড়া সিলেট বিভাগে ১৭টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, ময়মনসিংহে ছয়টি, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী ও রংপুরে পাঁচটি করে এবং ঢাকায় দুটি সেতুর উদ্বোধন করা হবে।
একসঙ্গে এত সেতুর উদ্বোধনকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদেরসহ নির্মাণে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানান সরকারপ্রধান।শেখ হাসিনা বলেন, করোনার পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। যে কারণে অর্থনীতির গতিশীলতা কিছুটা শ্লথ হয়েছে। এর মধ্যেও সেতু উদ্বোধন করায় সেতুমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সবার সহযোগিতায় সেতুগুলো উদ্বোধন করা সম্ভব হয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান আরও বলেন, এসব সেতু নির্মাণের ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে কাজ করা আরও সহজ হবে। কোনো ঘটনা ঘটলেই তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে পারবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে অনেক কথা বলেন পারে। কিন্তু যে কাজগুলো করেছি তার সুফল পাচ্ছে মানুষ।
নাগরিকদের সাশ্রয়ী হতে এবং যার যেখানে সম্ভব শাক-সবজি থেকে শুরু করে যা পারেন তাই উৎপাদনের আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেককেই সুরক্ষিত রাখতে হবে এবং সাশ্রয়ী হতে হবে।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের মানুষের যে উন্নয়নের ধারা যেটা সৃষ্টি করেছি, সেটা যেন অব্যাহত থাকে।’
ডেঙ্গু পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে সরকারের পক্ষ থেকে যেটা করার সেটা আমরা করব তারপরও ডেঙ্গু থেকে নিজেদের সতর্ক থাকতে হবে। কোথাও যেন পানি না জমে, মশার প্রজনন ক্ষেত্রগুলো আস্তে আস্তে ধ্বংস করা, নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিজেদের করতে হবে। আমরা আছি আপনাদের পাশে।’পদ্মা সেতুর কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করেছি। সেটা আমাদের গর্বের বিষয়।