সেলেনা গোমেজকে লড়াই করতে হয়েছে নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার সঙ্গে। তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয়েছে, মানসিক সমস্যার জন্য বারবার ভর্তি হতে হয়েছে পুনর্বাসনকেন্দ্রে। সেলেনাকে নিয়ে নির্মিত নতুন তথ্যচিত্র ‘মাই মাইন্ড অ্যান্ড মি’-তে নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি। বলেছেন, একটা সময় মানসিকভাবে এতটাই খারাপ অবস্থায় ছিলেন যে আত্মহত্যার চিন্তাও পেয়ে বসেছিল তাঁকে।
গতকাল অ্যাপল টিভি প্লাসে মুক্তি পেয়েছে সেলেনা গোমেজকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র ‘মাই মাইন্ড অ্যান্ড মি’। সেখানে তিনি বলেছেন তাঁর মানসিক অবস্থার কথা। বলেছেন, বন্ধুরা নানাভাবে তাঁকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তাঁর মনের ভেতর কী চলছিল, কেউই জানতেন না।সেলেনা বলেন, ‘মাঝেমধ্যে সপ্তাহের পর সপ্তাহ বিছানায় কাটাতাম, যখন সিঁড়ি দিয়ে নামতাম, মনে হতো নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল।’
কয়েক বছর ধরে এ ধরনের পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ সময় তাঁর মধ্যে আত্মহত্যার চিন্তা পেয়ে বসে। কিন্তু ধীরে ধীরে সে অবস্থা কাটিয়ে ওঠেন।২০১৮ সালে সেলেনা গোমেজ জানতে পারেন, তিনি বাইপোলার রোগে আক্রান্ত। কতটা কঠিন ছিল সে সময়ের দিনগুলো? সেলেনা বলেন, ‘আমাকে বিভিন্ন সময়ে চারটি চিকিৎসাকেন্দ্রে যেতে হয়েছে।
যখন বিশে পা দিলাম, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে অন্ধকার হতে শুরু করল। মনে হতো, যা ভাবছি তার ওপর আমার নিয়ন্ত্রণ নেই, আমার ভাবনা ভালো নাকি খারাপ, সেটাই বুঝতে পারছিলাম না।’নতুন তথ্যচিত্রে সেলেনা কথা বলেন জাস্টিন বিবারের সঙ্গে তাঁর বহুল আলোচিত সম্পর্ক নিয়েও। ২০১১ সালে শুরু হওয়া সম্পর্কটা ভেঙে যায় ২০১৮ সালে। এর কিছুদিন পর হেইলি ব্লন্ডউইনের সঙ্গে বাগদান হয় বিবারের।
তথ্যচিত্রে বিবারের সঙ্গে বিচ্ছেদকে ‘জীবনের সেরা ঘটনা’ বলে অভিহিত করেন সেলেনা। বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে হওয়ারই ছিল, যা হয়েছে সেটা আমার জীবনে ঘটা সবচেয়ে ভালো বিষয়।’এদিকে মুক্তির পর সেলেনাকে নিয়ে তথ্যচিত্রটি ভক্ত তো বটেই, তারকাদেরও প্রশংসা কুড়াচ্ছে। সেলেনার বন্ধু গায়িকা টেলর সুইফট বলেছেন, ‘তোমার জন্য গর্বিত, সব সময় তোমাকে ভালোবাসি।