চাল ডালমুরগিসহ রান্না করার সরঞ্জাম নিয়ে ট্রলারযোগে রওনা দেন নেতাকর্মীরা

আনোয়ার হোসেন এসেছেন ঝারকাঠি থেকে। উদ্দেশ্য বিএনপির গণসমাবেশ যোগ দেওয়া। শুক্রবার থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে, এটা জেনেই গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরেই ১৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে বরিশাল বিএনপির গণসমাবেশ এসেছেন। থাকার কোনও জায়গা না থাকার কারণে মাঠেই বিছানা পেতেছেন তারা। হালকা শীত আর খোলা মাঠে বাতাসে কোনও রকম জড়োোসরো হয়ে শুয়ে আছেন।
দলকে ভালোবেসে, দলের টানে দুইদিন আগেই তিনি মাঠে এসেছেন বলে জানালেন।এদিকে পিরোজপুর থেকে আসা মোবারক তাস নিয়ে এসেছেন। তার সঙ্গে তাস খেলতে জড়ো হয়েছেন আরও ৭-৮ জন। সবাই মিলে তাস খেলে সময় পার করছেন। ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগেই সমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ভিড় করছেন নেতাকর্মীরা।
সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগেই তারা অবস্থান নিয়েছেন সমাবেশস্থলে, রাতে অবস্থানও করছেন এখানে তারা। আর এ কারণেই রান্না চলছে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সমাবেশের মঞ্চের পাশেই।বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকে। সন্ধ্যার পর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে একের পর এক মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন বিএনপি সমর্থক ও নেতাকর্মীরা।
কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের পরিবহন বন্ধ করে আটকে রাখা যাবে না। সমাবেশস্থলেই এত নেতাকর্মী, তাহলে ভাবুন বরিশাল নগরীতে কত নেতাকর্মী অবস্থান করছে। সমাবেশে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে।’বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য রান্না চলছে সমাবেশস্থলেই। ৮টি বড় ডেকচিতে মুরগির মাংস ও খিচুড়ি রান্না করা হচ্ছে। ১ হাজারের বেশি নেতাকর্মীদের রাতের খাবারের জন্য এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
আবাসিক হোটেলে পুলিশের অভিযানসহ নানা হয়রানি থেকে বাঁচতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে রাত যাপন করবেন বলে জানান মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আলী হায়দার বাবুল।তিনিবলেন,‘সকল ধরনের পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে সরকার আমাদের সমাবেশ ঠেকাতে। তবে তাদের কোনও উদ্যোগই সফল হবে না।
জনগনের জন্য আন্দোলনে সব বাধা অতিক্রম করে দুই দিন আগেই সমাবেশস্থলে হাজির হচ্ছে নেতাকর্মীরা। তাদের এখানেই থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে ট্রিপল টাঙিয়ে। আর খাবারের জন্য সমাবেশস্থলেই রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে সমাবেশের দুই দিন আগে থেকে। এতেই বোঝা যায় সরকার কোনো বাধা দিয়েই আমাদের সমাবেশে নেতাকর্মীদের আসা আটকাতে পারবে না।’