মাদারীপুরে সৌদি প্রবাসীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বিয়ে করায় দ্বিতীয় স্বামী আজম মাতুব্বরকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তিনি।আজম সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের খৈয়ারভাঙ্গা এলাকার রাজ্জাক মাতুব্বরের ছেলে ও মোস্তফাপুর বাজারের মোবাইল মেকানিক ছিলেন।
স্বজনরা জানান, ১০ বছর আগে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার আটিপাড়া এলাকার লতিফ হাওলাদারের ছেলে ওবাইদুল হাওলাদারের(৩৮) সঙ্গে সদর উপজেলার খৈয়ার ভাঙ্গা কালাম ঢালীর মেয়ে লিমা আক্তারের (৩০) বিয়ে হয়। পরে তাদের সংসারে দুই মেয়ের জন্ম হয়। বিয়ের ৫ বছর পর সৌদি আরব চলে যান ওবাইদুল।
এ সময় তার স্ত্রী লিমার সঙ্গে মোবাইল মেকানিক আজম মাতুব্বরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দেড় বছর প্রেম করার পর প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে সন্তান রেখে আজমের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেন লিমা। বেশ কিছুদিন আগে সৌদি আরব থেকে চলে আসেন ওবায়দুল।মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাতে লিমার বর্তমান স্বামী আজম মাতুব্বর দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন।
পথে মোস্তফাপুর পল্লী বিদ্যুৎ মসজিদের সামনে এলে লিমার তালাকপ্রাপ্ত স্বামী ওবায়দুল হাওলাদার ও লিমার বাবার বাড়ির লোকজন মিলে আজম মাতুব্বরের ওপর হামলা চালান। এ সময় আজমকে হাতুড়িপেটা করা হয়। আজমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনদিন চিকিৎসা শেষে শুক্রবার দুপুরে মারা যান আজম।নিহত আজম মাতুব্বরের বোন শিল্পী বেগম বলেন, আমার ভাইকে তার দ্বিতীয় বউ লিমার বাবার বাড়ির লোকজন হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে আজম মাতুব্বরের দ্বিতীয় স্ত্রী লিমা বলেন, ‘আমার এই বিয়ে আমার ভাইসহ পরিবারের কেউ মেনে নেয়নি। তাই তারা সবাই মিলে আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই।’মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে লিমার বাবার বাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছেনে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।