ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদির গুজরাট সফরের সময় মরবি শহরের মাছু নদীর ওপর নির্মিত ঝুলন্ত সেতু ধসে পড়ে। এ ঘটনায় নিহত হন ১৪১ জন।ঘটনার দুদিন পার হওয়ার পর মোদি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হরিষ সাংভি।মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ১৪০ বছরের পুরনো সেতু ধসের স্থানটি পরিদর্শন করেন নরেন্দ্র মোদি।
তিনি যখন সেখানে পৌঁছান তখনও উদ্ধার কাজ চলছিল। এ ছাড়া সেতু ধসের কারণ অনুসন্ধানে প্রকৌশলী ও গুজরাট সরকারের কর্মকর্তারা কাজ করছিলেন। মোদি তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তাকে বেশ চিন্তিত দেখাচ্ছিল।ভারতের গুজরাটের মরবিতে সেতু ভেঙে পড়ে ১৪১ জন নিহতের ঘটনায় আহতদের দেখতে আজ মঙ্গলবার মরবির সিভিল হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মোদির আগমনের খবরে রাতজুড়ে হাসপাতাল ঘষামাজার কাজ চলেছে। এ নিয়ে বিরোধীরা নরেন্দ্র মোদির তীব্র সমালোচনা করেছেন।বিরোধীরা বলছে, বিজেপি যদি সত্যি সত্যি উন্নয়ন কার্যক্রম চালাত তাহলে রাতজুড়ে হাসপাতাল ঘষামাজার কাজ করতে হতো না। তারা বলছেন, মূলত ‘ফটোশুট’ করতেই হাসপাতালে যাচ্ছেন মোদি।
আজ মঙ্গলবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর আগমনের খবরে সোমবার দিবাগত রাতে হাসপাতাল ঘষামাজার কাজ চলেছে। বেশ কয়েকজন মিলে হাসপাতাল চত্বরে ঝাড়ু-মোছার কাজ করেছেন। হাসপাতালের দেয়াল ও সিলিং নতুন রঙে ঝকঝকে করা হয়েছে। সেতু দুর্ঘটনায় আহতরা যে ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন সেখানে তড়িঘড়ি করে নতুন চাদর বিছানো হয়েছে।
কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির নেতারা বলছেন, বিজেপি ‘ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে’ ব্যস্ত। তারা মোদির ‘ফটোশুট’ বাস্তবায়নের কাজ করছে।
টুইটারে কংগ্রেস লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী মোদির আগমন উপলক্ষে হাসপাতালসজ্জার কাজ চলছে। মোদির ছবি যেন ভালো আসে সেই লক্ষ্যেই সকল আয়োজন। এতগুলো মানুষ মারা গেল এতে তাদের কোনো লজ্জা নেই। তারা ‘ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে’ ব্যস্ত।
আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ২৭ বছরে গুজরাটে যদি বিজেপি কাজ করত তাহলে মধ্যরাতে হাসপাতাল ঘষামাজার কাজ করতে হতো না।উল্লেখ্য, গত রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় মরবি জেলার মাচ্চু নদীতে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ওই সেতুটি ভেঙে পড়ে।