অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সৌদি আরবে অবস্থানকালে লুৎফর রহমান তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার ভাইয়ের পুত্রবধূর মেসেঞ্জারে নিয়মিত ফোন দিতেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি তার ভাতিজা বউকে প্রেমের প্রস্তাবসহ নানা অনৈতিক প্রস্তাব দিতে থাকেন। বিষয়টি ওই নারী প্রথমে তার স্বামীকে জানান।
এরপর তিনি ও তার স্বামী লুৎফর রহমানের বাবা মোস্তফা ফকির, মা লুৎফন নেছা ও ভাই নয়ন ফকিরকে অবগত করলে উল্টো তাকেই তারা দোষারোপ করেন ও হুমকি-ধমকি দেন।ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘তার প্রস্তাবের কথাগুলো যদি আমার স্বামীকে বলে দিই, তাহলে তারা আমার স্বামীকে ভাড়া করা মাস্তান দিয়ে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে। আর এ জন্যই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে লুৎফর রহমানের সঙ্গে মেসেঞ্জারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার মা লুৎফন নেছা মোবাইল ফোনে ছেলে লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা ছেলেকে শাসন করেছি। এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের সদস্যরা বসে সমঝোতার চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈন উদ্দীন বলেন, ভুক্তভোগী এক নারীর স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খুব দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।