Bangla NewsFeatured Newsঅপরাধ

হবু বধূর আবদার মেটাতে এক যুবক প্রায় ৮০ লাখ টাকা দেন

ফেসবুকে এক তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল এক যুবকের। পরে সেই পরিচিতি প্রেমে গড়ায়। বিয়ের সিদ্ধান্তও নেন তাঁরা। তরুণীর প্রেমে অন্ধ ছিলেন যুবক। তাই তরুণীর কথা মতো তাঁকে কয়েক লক্ষ টাকা দেন যুবক। টাকা পাওয়ার পরই ‘বেপাত্তা’ হয়ে যান তরুণী। লক্ষাধিক টাকা খুইয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন যুবক।

ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও থানা এলাকায়। গত ১৭ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করেন ওই যুবক। অভিযোগ, ফেসবুকে এক তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয়। অল্প দিনের আলাপেই তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।

সম্পর্কে যাওয়ার পর নানা কারণে যুবকের থেকে মোট ৮০ লক্ষ টাকা নেন তরুণী। তার পরই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তরুণী। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে থানার দ্বারস্থ হন ওই যুবক।

ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার তারিক বিন রশিদ  বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় ২০ অক্টোবর টাঙ্গাইল সদর থেকে প্রথমে আবিরা জাহানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরে অভিযান চালিয়ে চক্রের হোতা সুজন তালুকদারকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, সুজন তালুকদার নারীদের নামে একাধিক ভুয়া ফেসবুক আইডি খোলেন। এরপর তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী পুষ্পা বিভিন্নজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। গ্রেফতারকৃতদের মোবাইল থেকে অসংখ্য অশ্লীল ভিডিও উদ্ধার করেছে ডিবির কর্মকর্তারা।

এজাহার থেকে জানা যায়, মামলার বাদী ফেসবুকে এক তরুণীর সঙ্গে পরিচিত হন। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক হয় তাদের মধ্যে। বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। ২০১৯ সালের ৭ জুলাই বিবাদী বাদীর নিকট তার মৃত মায়ের মিলাদের জন্য ১ লাখ টাকা ধার হিসেবে চান যা এক মাসের মধ্যে ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

এরপর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে গেল তিন বছরে বাদীর কাছ থেকে তার কথিত প্রেমিকা বিভিন্ন সময় মোবাইল ব্যাংকিং, কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।আসামি সুজন তালুকদার ওরফে শাওন ওরফে তানভীর ওরফে জাহিদ ওরফে লুৎফর নারী এবং পুরুষের একাধিক ছদ্মনামে ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে অপরিচিত বিভিন্ন লোকজনের  সঙ্গে বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

পুরুষদের আকৃষ্ট করতে সে অপর আসামি পুষ্পা আক্তার ওরফে আরিফা জাহানকে ব্যবহার করে। বিশ্বাস অর্জনের জন্য পাঠানো হয় অশ্লীল ভিডিও।উক্ত আসামিরা যোগসাজশে গেল ৪/৫ বছর ধরে একই কায়দায় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে দুই তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

Back to top button