সম্প্রতি এক সমাবেশে বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মানে মানে (সম্মান থাকতে) সরে পড়ুন। যদি সরে না পড়েন তাহলে এ দেশের মানুষ জানে, কীভাবে সরাতে হয়।আরেক অনুষ্ঠানে আমানউল্লাহ আমান বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর শেখ হাসিনার কথায় দেশ চলবে না।
আগামী ১০ ডিসেম্বরের পরে খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে।আমানের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি এবং নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সদস্যসচিব মামুন মাহমুদ। মামুনের দাবি, ১১ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। যদিও এ বিষয়ে দলের সিনিয়র নেতারা কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
ফলে বিভাগীয় সমাবেশের আলোচনা ছাপিয়ে রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে বিএনপি ১০ ডিসেম্বরের ঢাকার মহাসমাবেশ কর্মসূচি।
আরেক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে।এদিকে আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মোকাবিলা হবে, মোকাবিলা হবে রাজপথে, আসল মোকাবিলা হবে ডিসেম্বরে।
আরেক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেন, বিজয়ের মাসে ওদের কোথাও (বিএনপি) নামতে দেয়া হবে না। এ মাস আমাদের।আর বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, ঢাকার সমাবেশ থেকেই সরকারকে লাল কার্ড দেখাবেন তারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সময় সংবাদকে বলেন, ঢাকা শহরে বড় একটা সমাবেশ হবে, রেডকার্ড দেখানো হবে, বাধা দিলে আন্দোলন আরও বেগবান হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভয়ভীতি তাদের মধ্যে (আওয়ামী লীগ) কাজ করছে। তাদের মধ্যে যেটা হচ্ছে তারা গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, জনগণের প্রতি একটি ভয় কাজ করছে তাদের।
বিএনপি নেতারা বলছেন, ডেডলাইন দিয়ে আন্দোলন হয় না।আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ডেডলাইন দিয়ে আন্দোলন হয় না, এই জনস্রোত কোথা দিয়ে কাকে ধ্বংস করবে, কী করে যাবে, কোন পথে চলবে এবং কোন বাধা অতিক্রম করবে জানি না। এটার একটা নিজস্ব গতিপথ আছে।
বিএনপর ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আমার ধারণা ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সরকারের কর্তৃত্ব এ দেশে নাও থাকতে পারে।