ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ আঘাত হেনেছে বাংলাদেশের উপকূলে। সোমবার সন্ধ্যায় উপকূল স্পর্শ করার সাথে সাথে প্রবল ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের মাঝামাঝি এলাকায় উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং।
ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ আজ মধ্যরাতে বরিশাল ও চট্টগ্রামের উপকূল অতিক্রম করবে।ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে ইতোমধ্যে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরিশাল, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলা এবং ওই এলাকার দ্বীপ ও চরগুলোকেও ৭ নম্বর বিপৎসঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ছানাউল হক মণ্ডল বলেন, সোমবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের আঘাত শুরু হয়েছে। এর মূল কেন্দ্র মধ্যরাত থেকে আঘাত করা শুরু করে ভোরের মধ্যে অতিক্রম করা শেষ করবে।তিনি বলেন, কোনো ঘূর্ণিঝড়ই ছোট নয়। ঘূর্ণিঝড়ের নির্দিষ্ট কোনো পয়েন্ট নেই। এজন্য বিকেল থেকে ঝড়-বৃষ্টি হলেও আমরা অগ্রভাগের কথাটা উল্লেখ করিনি।
তবে সন্ধ্যার পর থেকে যেহেতু বেশিরভাগ উপকূল এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে, সেহেতু এখন বলাই যায় এর অগ্রভাগের আঘাত শুরু হয়েছে। ভোরে উপকূল অতিক্রম করার সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ৯৫ কিলোমিটার। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বৃষ্টিপাত কমে যাবে।
কিছু কিছু জায়গায় থাকলেও বুধবার থেকে বৃষ্টিপাত আর থাকবে না বলে জানান তিনি।আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে একটানা বাতাসের গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৫ কিমি। যা দমকা হাওয়াসহ প্রায় ৯৫ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে বাতাসের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং উপকূলে তীব্রতা হ্রাস পেতে পারে।
দেশের উপকূলের বেশির ভাগ অংশেই তীব্র দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে, যা রাতভর কমবেশি চলমান থাকতে পারে। সেইসঙ্গে টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে দেশের উপকূলের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এই বৈরী আবহাওয়া মঙ্গলবার দুপুর থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে।