সমাবেশে জনসমাগম দেখে মনকলা খাচ্ছে বিএনপি

মরা গাঙে কিছুটা ঢেউ দেখে মনকলা খাচ্ছে বিএনপি- এ মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের  সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, ক্ষমতার বদল চাইলে বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। আওয়ামী লীগের কাছে সেইফ এক্সিট মানে হলো নির্বাচন।

ক্ষমতার বদল চাইলে নির্বাচনে আসুন। আমরা প্রস্তুত ভোটে আসেন। জনগণ ভোট না দিলে আমরা নিরাপদ প্রস্থান করবরোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেট্রোরেল-১ (এমআরটি লাইন-১)-এর নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

‘আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না’- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা কখনও পালাইনি। তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই তো পালিয়ে আছে।জনগণের প্রতি আস্থার কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেভাবে লাঠি নিয়ে নেমেছে, অগ্নিসন্ত্রাসের আভাস দিচ্ছে, তাতে ফখরুল সাহেবদেরই সেইফ এক্সিট (নিরাপদ রাস্তা) খুঁজতে হবে।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘ভুলে গেছেন, আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে ফুটপাতের ওপর আমরা মিটিং করতে পারিনি, বাধা কাকে বলে। মোহাম্মদ নাসিম নেই, মতিয়া চৌধুরীকে পেটানো হয়েছে। সাধারণ একটা সমাবেশে আব্দুস সামাদকেও রেহাই দেওয়া হয়নি, তিনিও হাসপাতালে গেছেন।’

‘বিএনপি বাধার কথা বলে, জাতীয় পার্টিও বলছে তাদের রাস্তায় নামতে দেওয়া হচ্ছে না। এ অবস্থা তো আমাদের ওপরও ছিল। কি না করেছে তারা। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন পাঁচ বছরে পাঁচ সপ্তাহও ঘরে থাকতে পারেননি। তাদের অমানবিক নির্যাতনের আওয়ামী লীগের ২৫ হাজার নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে।’

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে কিসের পাল্টাপাল্টি? বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেওয়ার ইচ্ছে নাই আওয়ামী লীগের।’

অপর এক প্রশ্নে জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘চট্টগ্রামে কি বাস বন্ধ ছিল। বাস-মালিকদের সেটি জিজ্ঞাসা করুন। আমি যখন মন্ত্রী তখন যে তারা (বাস-মালিক) আমাদের বিরুদ্ধে ধর্মঘট করেছে। বেসরকারি গাড়ি চালাবে কি না চালাবে সেটি আমি জোর করতে পারি না। আমার বিরুদ্ধে যখন করে তখন আপনারা দেখেন না?’

কাদের বলেন, ‘কয়েক হাজার লোক হলেই বলা হয় লাখ লাখ। চট্টগ্রামে লাখের কাছাকাছি হলেও ময়মানসিংহ ও খুলনাতে এতো লোক হয়নি। মরা গাঙে কিছুটা ঢেউ দেখে মনকলা খাচ্ছে বিএনপি। মরা গাঙ্গে জোয়ার আর আসবে না। গণমাধ্যমকর্মীরা এতদিন পর ঘুমিয়ে থাকাদের জেগে উঠতে দেখে বড় করে ছবি প্রচার করেছে।

Exit mobile version