খুলনার ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা
বিএনপির সমাবেশ সামনে রেখে দুই দিনের বাস ধর্মঘট চলছে খুলনায়। এদিকে বাসের পর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে লঞ্চ চলাচলও। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।শুক্রবার (২১ অক্টোবর) মহাসড়কে নসিমন-করিমন বন্ধ করার দাবিতে খুলনা জেলা বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতি এই ধর্মঘট ডাকে।
এরপর ১০ দফা দাবিতে ৪৮ ঘন্টা ধর্মঘট শুরু করেছেন যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো। এর ফলে ২টি রুটে ৬টি লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন লঞ্চ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।অন্যদিকে খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করেন, শনিবার খুলনার সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ।
এই গণসমাবেশে নেতাকর্মীদের আসা ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে বাস মালিক সমিতি এই ধর্মঘট ডেকেছে।তবে বাস মালিক সমিতির সহসভাপতি কাজী এনায়েত হোসেন বলেন,‘সরকারের নির্দেশে বাস বন্ধ করার অভিযোগ সঠিক নয়।তারা মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে এই ধর্মঘট করছেন।
তাছাড়া সমাবেশকে ঘিরে বাস ভাঙচুর হতে পারে বলেও আশংকা আছে।’তবে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি বলছে, সরকারের নির্দেশে নয়, মহাসড়কে নসিমন-করিমন বন্ধের দাবিতে বাস চালাচ্ছেন না তারা।বিশেষ করে সমাজসেবা কার্যালয়ের ইউনিয়ন সমাজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষা দিতে আসা ব্যক্তিদের ভোগান্তি ছিল সবচেয়ে বেশি।
সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সকাল থেকে ইজিবাইক, ভ্যানে করে খুলনায় এসেছেন তারা। ছুটির দিনে যারা খুলনা বা এর আশাপাশের জেলায় বেড়াতে যেতে চেয়েছিলেন, তারাও যেতে পারেননি।বটিয়াঘাটা উপজেলা থেকে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে আসা কুষ্টিয়ার যাত্রী শফিকুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়ায় জরুরি কাজে যাওয়ার জন্য এসেছিলাম।এসে দেখি বাস চলছে না। দূর-দূরান্তের যাত্রীরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে।
বিএনপির দাবি, আগামীকাল শনিবার খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশ রয়েছে। ওই গণসমাবেশ বানচাল করতে এবং বিপুল মানুষের উপস্থিতি ঠেকাতে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করে বলেন, শনিবার খুলনার সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপি বিভাগীয় গণসমাবেশ ডেকেছে।
এই গণসমাবেশে নেতাকর্মীদের আসা ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে বাস মালিক সমিতি এই ধর্মঘট ডেকেছে।এসব অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি কাজী এনায়েত হোসেন। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে বাস বন্ধ করার অভিযোগ সঠিক নয়।
তিনি জানান, তারা মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে এই ধর্মঘট করছেন। এছাড়া সমাবেশকে ঘিরে বাস ভঙচুর হতে পারে বলেও আশংকা ছিল।