বর্তমান সরকারকে সরাতে না পারলে দেশ ও জাতির অস্তিত্ব থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আর না, এখন সময় এসে গেছে যার যা শক্তি আছে সেটি দিয়ে সমস্ত দেশের মানুষকে জাগিয়ে তোলার।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এ সব কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করছেন যে, আন্দোলনকে দমন করার জন্য সরকার কীভাবে তারা ভয়ংকরভাবে কাজ করছে। তারা গণতন্ত্রের কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে তারা বিরোধী দলের সমাবেশকে বাধা দিচ্ছে।
বাস মালিকদের দিয়ে গণপরিবহন বন্ধ করেছে যে সমাবেশ যেন বড় না হয়।সমাবেশ বড় না হলে তাদের (সরকার) লাভটা কি হবে? তারা বলতে পারবেন যে, বিএনপির সমাবেশ বড় হয়নি।তাতে কি হবে? মানুষের অন্তরের মধ্যে যে ক্ষোভ জমে আছে, প্রতিটি মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ বিরাজ করছে তা কি ওরা মুছে দিতে পারবে না? পারবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার আজ ক্ষমতা আগলে রাখতে নগ্নভাবে নেমেছে। সমাবেশে বাধা দিয়ে জনসমাগম দমাতে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ সরকারকে সরাতে না পারলে জাতির অস্তিত্ব থাকবে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য। ক্ষমতায় ধরে রাখতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে।
ইসলাম আলমগীর বলেন, আর নয়- এখন সময় এসেছে এই অত্যাচারী সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে জাগিয়ে তোলার।তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য। ক্ষমতায় ধরে রাখতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে।
দলটির মহাসচিব বলেন, যারা মানুষ হত্যা করে, গুম করে, লুটপাট করে তাদের পাশে জনগণ নেই, এটা বলার এখন সময় এসেছে।বিএনপি ন্যায়বিচারের কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে দানব সরকারকে হঠিয়ে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে হবে।