ইরানের কারাগারে আগুন, নিহত ৪
ইরানে রাজনৈতিক বন্দি, সাংবাদিক ও বিদেশি নাগরিকদের আটকে রাখা ‘কুখ্যাত’ এভিন কারাগারে আগুন লাগার ঘটনায় অন্তত ৪ বন্দি নিহত এবং ৬১ জন আহত হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি এ খবর দিয়েছে।তবে কারাগারের ভেতরের কয়েকজন বিবিসি পার্সি সার্ভিসকে বলেছেন, হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে তেহরানের ওই কারাগার প্রাঙ্গণে আগুনের শিখা এবং ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। শোনা গেছে গুলি এবং বিস্ফোরণের শব্দও। কয়েক সপ্তাহের সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ ইরানকে এমনিতেই অস্থির করে রেখেছে। তার মধ্যে শনিবার রাতে কারাগারে বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ইরান কর্তৃপক্ষ বলছে, কারাগারের একটি ওয়ার্কশপে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক বন্দী, সাংবাদিক ও বিদেশি নাগরিকদের বন্দী করে রাখার জন্য এভিন ‘কুখ্যাত কারাগার’ হিসেবে পরিচিত।
উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের পুলিশ হেফাজতে ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর পর দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ এখনো চলছে। বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। শত শত বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে ইরানি পুলিশ।
বিবিসির ইরানি সাংবাদিক রানা রহিমপুর জানিয়েছেন, শত শত বিক্ষোভকারীকে আটক করে এভিন কারাগারে পাঠিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সাম্প্রতিক বিক্ষোভের কোনো সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না, তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। ইরানের সরকারবিরোধী একটি পর্যবেক্ষক গ্রুপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে দেখা যায়, কারাগারের ভেতর থেকে ‘স্বৈরশাসক নিপাত যাক’ এবং অন্যান্য সরকারবিরোধী স্লোগান ভেসে আসছে।
অন্য এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বাইরে থেকে কারাগারের প্রাচীর লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হচ্ছে। এরপর একটি বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে।
এদিকে সরকারনিয়ন্ত্রিত ইরানের গণমাধ্যমগুলো বলেছে, বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত বন্দীদের মধ্যে দাঙ্গা শুরু হয়েছিল। এতে কোনো রাজনৈতিক বন্দী জড়িত ছিলেন না।