বিএনপি ও সমমনা দলগুলো রাজপথে নতুন, সে হিসেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বেশ পুরোনো- এ কথাই ওই দলগুলোকে স্মরণ করিয়ে দিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।সোমবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় বসার পর থেকেই নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে আসা বিএনপি ও শরিক দলগুলোর উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা তো রাজপথে নতুন এসেছে। আমরা রাজপথের পুরোনো লোক। রাজপথ আমরা কাউকে ইজারা দেইনি।
‘আমরা রাজপথে ছিলাম, রাজপথে আছি। আসুন রাজপথে মোকাবিলা হবে। ফয়সালা হবে। তবে আগুন নিয়ে খেলতে গেলে পরিণাম হবে ভয়াবহ।’
আওয়ামী লীগ দেশ থেকে পালিয়ে যাবে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কোথায় পালিয়ে যাব। পালানোর ইতিহাস আমাদের নেই। পালাবার দল আওয়ামী লীগ নয়, পালাবার দল আপনারা (বিএনপি)। আপনাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কোথায়? জরুরি সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে টেমস নদীর তীরে পালিয়ে গেছে।
বিএনপি মহাসিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ময়ূর সিংহাসন সোনার হরিণ। বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন রঙিন খোয়াবের মতো। সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন করবেন আমরা কোনো বাধা দেব না। কিন্তু শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ কঠোরভাবে দমন করবে। যতই স্বপ্ন দেখুন সরকারের পতনের আওয়ামী লীগ যখন মাঠে নামবে সেই স্বপ্ন কর্পুরের মতো উড়ে যাবে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণভাবে করলে বাধা দেয়া হবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ও তার দোসররা প্রধানমন্ত্রীকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালজ করছে, হত্যার হুমকি দিচ্ছে, বিষোদগার করছে। আন্দোলনে কোনো সহিংসতার উপাদান যুক্ত করা হলে আমরা কি নিরব হয়ে বসে থাকব। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কি আঙুল চুষবে ।সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য
কাজী জাফরুল্লাহ, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নাননক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, এস এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনসহ সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন নেতাকর্মী।