বিশ্বের একাধিক জায়গায় তাপপ্রবাহ
বিশ্বের একাধিক জায়গায় তাপপ্রবাহ এত তীব্র হয়ে উঠবে যে কার্যত ধ্বংসের সম্মুখীন হবে মানবসভ্যতা, একটি জনবহুল এলাকা হয়ে পড়বে বসবাসের অযোগ্য। একটি রিপোর্টে সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জ ও রেড ক্রস সোসাইটি একযোগে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। সংস্থা দু’টির দাবি, হর্ন অব আফ্রিকা তথা আফ্রিকার মূল মহাদেশীয় ভূখণ্ডের পূর্বতম অঞ্চল, সাহিল অঞ্চল ও দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ায় তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়বে সবচেয়ে বেশি।
সোমালিয়া ও পাকিস্তানের মতো দেশ তো এখনই তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হয়, ধারণা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে তাদের দুর্ভোগ বাড়বে। পরিবেশের অবক্ষয় ও তাপপ্রবাহেরফলে বৈষম্য থেকে জীবনহানি, আশঙ্কা রয়েছে সব কিছুরই। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবিক বিষয় সংক্রান্ত দফতরের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথসের মতে, তাপপ্রবাহ, খরা বা বন্যার মতো পরিস্থিতিতে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় উন্নয়নশীল দেশগুলি।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবিক বিষয় সংক্রান্ত দফতর, রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আন্তর্জাতিক সংগঠনের (আইএফআরসি) তরফে প্রকাশ করা এই গবেষণামূলক রিপোর্টে বলা হয়েছে,এখন থেকেই জোরকদমে পদক্ষেপ না করলে আগামী দিনে পৃথিবীর তাপমাত্রা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছবে যেখানে কোনও ভাবেই আর মানিয়ে নিতে পারবে না মানুষ। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাহিল, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া।
তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত নগরায়ণের ফলে আগামী দশকে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির অসুস্থ ও বয়স্ক মানুষদের আয়ু কমবে অনেকটাই। একই প্রভাব দেখা যাবে শিশু ও অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রে। রিপোর্টে দাবি, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করতে যথাযথ পদক্ষেপ না করলে এই শতকের শেষে ক্যানসার বা সংক্রামক ব্যাধির ফলে
মৃত্যুর হারের সঙ্গে পাল্লা দেবে তাপপ্রবাহে মৃত্যুর হার। মোকাবিলায় পাঁচটি পদক্ষেপের প্রস্তাব দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ ও রেড ক্রস। সেগুলির অন্যতম হল, প্রবল গরমে মানুষকে আশ্রয় দিতে তাপনিরোধক জরুরিকালীন আশ্রয়স্থলের ব্যবস্থা।