ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক মিসাইল হামলা শুরু করেছে রাশিয়া
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সোমবার এমন অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দফতরের উপপ্রধান কিরিলো টাইমোশেঙ্কো।ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সংযোগ স্থাপনকারী একমাত্র সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় মস্কোর পক্ষ থেকে কিয়েভকে দায়ী করার একদিনের মাথায় এই হামলার খবর এলো।
কিরিলো টাইমোশেঙ্কো বলেন, ‘ইউক্রেন ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার। দেশের অনেকগুলো শহরে হামলার তথ্য রয়েছে।’কিয়েভের মেয়র জানিয়েছেন, শহরের ঐতিহাসিক শেভেশেনকো এলাকাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে রুশ বাহিনী। এই এলাকাটিতে বহু ঐতিহাসিক স্থাপত্য রয়েছে। এছাড়া সেখানে বহু সরকারি দফতর রয়েছে।
কিয়েভ থেকে সংবাদমাধ্যম বিবিসির সংবাদদাতা পল অ্যাডামস জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল ৮টার কিছুক্ষণ পর মধ্য কিয়েভে অন্তত দুইটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।বিস্ফোরণের প্রায় ৯০ মিনিট আগে এয়ার রেইড সাইরেন বেজে উঠে বলে জানা যায় পল অ্যাডামস জানিয়েছেন, টানা কয়েক মাস বিরতির পর এই প্রথমবারের মতো কিয়েভে এই হামলা চালানো হয়েছে। বিস্ফোরণগুলোও অনেক বেশি জোরালো বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
কিয়েভের পাশাপাশি ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভ, টারনোপিল ও জাইটোমির এবং মধ্য ইউক্রেনের ডিনিপ্রো ও ক্রেমেনচুকেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।এদিকে ইউক্রেনের সামরিক প্রধান বলেছেন- সোমবার ইউক্রেনজুড়ে হামলার সময় অন্তত ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একজন সহকারীর মতে, রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত আটজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন এবং আরো ২৪ জন আহত হয়েছেন। শহরের মেয়র বলেছেন, সোমবারের হামলায় ‘গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতেও’ আঘাত করা হয়েছে।টেলিগ্রাম ম্যাসেজিং অ্যাপে দেওয়া এক বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘তারা (রাশিয়া) আমাদের ধ্বংস করার এবং পৃথিবী থেকে আমাদের মুছে ফেলার চেষ্টা করছে… জাপোরিঝিয়াতে নিজেদের বাড়িতে ঘুমন্ত লোকদের ধ্বংস করছে। যারা ডিনিপ্রো এবং কিয়েভে কাজ করতে যাওয়া লোকদের হত্যা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিমান হামলার সাইরেন ইউক্রেনজুড়ে কমছে না। সর্বত্রই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করছে। দুর্ভাগ্যবশত, সেখানে হতাহত হয়েছে।’এদিকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী রাশিয়ার সীমান্তবর্তী বেলগোরোড অঞ্চলে বিস্ফোরণের কথা জানিয়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।