সংলাপে বিএনপি দলছুটদের মিলন মেলা

বিএনপির চলমান এই সংলাপ নিয়ে রাজনৈতিক সচেতন মহলের এক ধরনের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ গুলোর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে। কারণ এই সমস্ত দলগুলোর মধ্যে অধিকাংশই নামসবর্স্ব। পাশাপাশি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে এই সংলাপ নিয়ে এক ধরনের সংশয় প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে।

বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বিএনপি সে সমস্ত দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে তারা অধিকাংশই নামসবর্স্ব।রাজনীতিতে তাদের প্রভাবপত্তি নেই বললেই চলে। আর এসব ছাড়িয়ে সামনে আসছে এ সমস্ত দলগুলোর নেতৃত্বের কথা। যারা এ সমস্ত দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের অতীত ইতিহাস সবারই এক। অর্থাৎ তারা সবাই দল ছুট। যেকারণে সংলাপ নিয়ে এক ধরনের সংশয় থেকেই যাচ্ছে বিশ্লেষকদের মধ্যে। আর এই সংলাপ শুধু দলছুটদের নিয়ে কিনা সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।গত ২ অক্টোবর থেকে ২২ টি সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় যুগপৎ আন্দোলনের রূপ রেখা চূড়ান্ত করতে সংলাপ শুরু করেছে বিএনপি। ওইদিন গুলশান চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এই সংলাপের আনুষ্ঠানিকতা।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে সংলাপে অংশ নেয়া দলগুলো বেশকিছু বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলন করতে একমত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, সংসদ বাতিল, নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি। সংলাপ শেষে একটি লিঁয়াজো কমিটি গঠন করা হতে পারে বলেও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।সমমনা দলগুলোর মধ্যে অন্যতম হল- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (সংক্ষেপে জাসদ)। যার নেতৃত্বে আচ্ছেন আ.স.ম. আব্দুর রব। যিনি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে মূল দল থেকে আলাদা হয়েছেন। আছে গণফোরামের একাংশ। এটি এখন দুইভাগে বিভক্ত।

নাগরিক ঐক্য: নেতৃত্বে রয়েছেন মাহমুদুর রহমান মান্না। আওয়ামী লীগ থেকে দলছুট তিনি। ছিলেন দলটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। সামাজিক সংগঠন হিসেবে কার্যক্রম শুরু হলেও পরবর্তীতে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্ন প্রকাশ করে নাগরিক ঐক্য।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি: নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল মুহাম্মদ ইব্রাহিম। দলের মধ্যে গঠনতন্ত্র চর্চাহয় না বলে সাম্প্রতিক সময়ে দুই শতাধিক নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন।

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি: আলোচিত আরেকটি দল। দলটির সভাপতি কর্নেল অলি আহমেদ বিএনপিতে অবাঞ্চিত হয়ে প্রতিষ্ঠতা করেন এলডিপি।

জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর): জাতীয় পার্টি গর্ভে যার জন্ম। দলটির প্রতিষ্ঠতা কাজী জাফর আহমেদ জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত হয়ে আলাদা দল গঠন করেন। এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোস্তফা জামাল হায়দার

ন্যাশনাল পিপলস পার্টি: দুইটি অংশে বিভক্ত দলটি। একটি বিশ দলীয় জোটের শরিক অপরটি এনডিএফ নামে নতুন জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে।বিশ্লেষকরা বলছেন, নামসবর্স্ব ছোট ছোট দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষে বিএনপি রাজনীতিতে কতটুকু ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে সেটাই দেখার বিষয়।

Exit mobile version