চীনের বহুতল ভবনের সেই ভয়াবহ আগুন অবশেষে নিভেছে

চীনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর চাংশায় একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আকাশচুম্বী ঐ ভবনে আগুন লেগে পুরো ভবন আগুনের গোলায় রূপ নিয়েছিল। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবনের আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছেন। এরই মধ্যে ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে গেছে।

অগ্নিকাণ্ডের শিকার ভবনটিতে চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি চীনা টেলিকমের অফিস রয়েছে।সিসিটিভি এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। যেখানে দেখা যায়, কমলা রঙের অগ্নিশিখা ভবনটিতে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে কালো ধোঁয়ায় আকাশ ছেয়ে গেছে।চায়না টেলিকম এক বিবৃতিতে বলেছে, এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা পাওয়া যায়নি ও যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়নি।

আগুন লাগা ৪২ তলা এই ভবনের উচ্চতা ৭১৫ ফুট। ২০০০ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। শহরের প্রধান রিং রোডের কাছেই এর অবস্থান।

তবে নেটিজেনরা ভয়াবহ এই আগুনে ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা করলেও প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি জানায়, রাষ্ট্র মালিকানাধীন টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি চায়না টেলিকমের একটি অফিসে আগুন লেগে ৪২ তলা ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয়।সিসিটিভির প্রচার করা ভিডিওতে দেখা যায়, ভবনটি থেকে কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছিল এবং এর অধিকাংশ ফ্লোরেই আগুন ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি দেখা যায়।

প্রাদেশিক ফায়ার সার্ভিস বিভাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টে জানিয়েছে, বর্তমানে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে এবং ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা এখনও কোনো হতাহতের ঘটনা খুঁজে পাননি।

শুক্রবার চায়না টেলিকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চাংশায় আমাদের ২ নম্বর কমিউনিকেশন টাওয়ারে লাগা আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। এখনও কোনো হতাহতের ঘটনা পাওয়া যায়নি এবং মোবাইল নেটওয়ার্কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি।’

চীনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বেশ সাধারণ ঘটনা। কারণ দেশটিতে বিল্ডিং কোডের প্রয়োগে শিথিলতা রয়েছে এবং ব্যাপক অনুমোদনহীন কাঠামো রয়েছে, যা জ্বলতে থাকা কোনো ভবন থেকে পালানো কঠিন করে দিতে পারে।

চাংশা চীনের হুনান প্রদেশের রাজধানী। শহরটিতে প্রায় ১ কোটি মানুষ বাস করে। এর আগে, গত বছরের জুলাই মাসে জিলিন প্রদেশের একটি গুদামে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হন। তার এক মাস আগে হেনান প্রদেশের একটি মার্শাল আর্ট স্কুলে অগ্নিকাণ্ডে ১৮ জনের মৃত্যু হয়, যাদের বেশিরভাগই ছিল শিশু। স্কুলটিতে অগ্নি নিরাপত্তার মান নিয়ে সেসময় বেশ বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ

Back to top button