গত শুক্রবার চরম আকার ধারণ করেছে কিরগিস্তান ও তাজিকিস্তানের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সীমান্ত যুদ্ধ।এতে অন্তত ২৪ জন নিহত ও আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন মানুষ। সীমান্তের দুই পাশ থেকেই বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গত সপ্তাহের প্রথম থেকেই সংঘাতের খবর পাওয়া যাচ্ছিল।
গত সপ্তাহের প্রথমদিকে শুরু হওয়া এই সীমান্ত সংঘাত ট্যাংক, কামান ও রকেট লঞ্চারের ব্যবহারে বড় আকারের লড়াইয়ে পরিণত হয়।তাজিক বাহিনী রকেট দিয়ে কিরগিজ শহর বাটকেনে আঘাত হানে।কিরগিজস্তানের জরুরি মন্ত্রণালয় বলেছে, লড়াইয়ের স্থান থেকে ১ লাখ ৩৬ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।মধ্য এশিয়ার দুই সাবেক সোভিয়েত প্রতিবেশীর মধ্যে এমন সীমান্ত লড়াইয়ের কারণ কী তা স্পষ্ট জানা যায়নি।
তবে শুক্রবার যুদ্ধবিরতির একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে এবং দিনের শেষেই আবার আর্টিলারি গোলাবর্ষণ শুরু হয়।যদিও দুই দেশের বর্ডার গার্ড প্রধানরা শুক্রবার মধ্যরাতে মিলিত হন এবং শত্রুতা অবসানে সহায়তা করার জন্য একটি যৌথ মনিটরিং গ্রুপ তৈরি করতে সম্মত হন।এ বৈঠক লড়াইয়ে কোনো প্রভাব পড়েছে কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।
তবে শুক্রবার কিরগিজ বর্ডার সার্ভিস এক বিবৃতিতে বলেছে, তাজিক দিক থেকে কিরগিজ পক্ষের অবস্থানে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে এবং কিছু এলাকায় তীব্র যুদ্ধ চলছে। কিরগিজ বাহিনী তাজিক হামলা প্রতিহত করছে।
সাবেক এই দুই সোভিয়েত রাষ্ট্রের মধ্যে কীভাবে যুদ্ধ শুরু হলো তা এখনও স্পষ্ট নয়।এই সীমান্ত সংঘাত শুরুর বিষয়ে কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তান, উভয় পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে। কিরগিজস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার ভোরে জানিয়েছে, তাজিকিস্তানের সীমান্তবর্তী বাতকেন অঞ্চলের হাসপাতালে ২৪ মরদেহ পৌঁছিয়েছে।
বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ