আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হয়। টানা ১৯ দিনের সফর শেষে ৩ অক্টোবর রাতে ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সফরসঙ্গীরা ঢাকা ছেড়েছেন।টানা ১৯ দিনের সফর শেষে ৩ অক্টোবর রাতে ঢাকা ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে দেশটির লন্ডন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটির অবতরণের কথা রয়েছে। লন্ডনে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাদিয়া মুনা তাসনিম প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের অভ্যর্থনা জানাবেন। ১৬ সেপ্টেম্বর কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর অবস্থানকালীন হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা, জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথবিষয়ক মন্ত্রী লর্ড আহমদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
১৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় ও লেবার পার্টির নেতা স্যার কেইর স্টারমার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পাশাপাশি রোববার সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের রাজার আমন্ত্রণে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের অভ্যর্থনায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। ওই দিন সন্ধ্যায় বাকিংহাম প্যালেসে এই অভ্যর্থনাটির আয়োজন করা হবে।
১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে অংশ নেবেন। একই দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে নিউইয়র্কের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘ বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত।
২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। পাশাপাশি তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। তিনি ইউএনএইচসিআরের ফিলিপো গ্রান্ডি ও স্লোলোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। ঐ দিন সন্ধ্যায় অ্যামেরিকান মিউজিয়াম অফ ন্যাশনাল হিস্ট্রিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সৌজন্যে আয়োজিত অভ্যর্থনায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র ও জাতিসংঘ আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের ‘টেকসই আবাসন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ঐ ভবনেই সাড়ে ১১টার সময় ডব্লিউইএফের নির্বাহী পরিচালক ক্লাউস সোয়াবের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ চ্যাম্পিয়নস মিটিংয়ে অংশ নেবেন সরকারপ্রধান।অএকই সঙ্গে কসোভোর প্রেসিডেন্ট, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি।
২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সময় সকাল সাড়ে ১০টায় রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।এ ছাড়াও আইওএম মহাপরিচালক, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী, আইসিসি প্রসিকিউটর করিম খানের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। ঐ দিন দুপুর ১টায় যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ যৌথ ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক ও মধ্যাহ্নভোজনেও অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
২৪ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিদের আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন সরকারপ্রধান। আনুষ্ঠানিকতা শেষে ওই দিন দুপুরে নিউ ইয়র্ক ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।
২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসিতেই অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে অংশ নেবেন বিভিন্ন কর্মসূচিতে।২ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন তিনি। লন্ডনে পৌঁছে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি নেবেন শেখ হাসিনা।
৩ অক্টোবর যুক্তরাজ্য সময় সকাল ৭টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ