চিকিৎসক শাকির বিন ওয়ালীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। সিটিটিসির একাধিক কর্মকর্তা এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শাকিরের বাবা চিকিৎসক এ কে এম ওয়ালী উল্লাহ গতকাল সকালে অভিযোগ করেছিলেন, গত রোববার দুপুরের পর রামপুরার বাসা থেকে তাঁর ছেলেকে সিআইডির পরিচয় দিয়ে সাদাপোশাকে থাকা চার ব্যক্তি তুলে নিয়ে যান। সেদিন রাত ১০টার দিকে তাঁরা আবার এসে শাকিরের মুঠোফোন নিয়ে যান। এখন শাকিরকে জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তারের কথা জানাল সিটিটিসি।
সিটিটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, শাকির নিষিদ্ধ জঙ্গিসংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। তাঁকে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর রামপুরার হাজীপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন ঢাকার মগবাজার থেকে শাকিরের সহযোগী আবরারুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি কথিত হিজরতের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
সিটিটিসি বলছে, কথিত হিজরতের নামে ঘর ছেড়ে যাওয়া কুমিল্লার সাত তরুণের সহযোগী শাকির। তিনি নানাভাবে তরুণ-যুবকদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করে আসছিলেন। তিনি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জঙ্গি সংগঠনটির জন্য সদস্য সংগ্রহ, সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও কথিত হিজরতে যেতে সহায়তা করতেন।
সম্প্রতি কুমিল্লা থেকে একযোগে সাত তরুণ বাড়ি ছাড়েন। এইচএসসি থেকে স্নাতকপড়ুয়া এসব তরুণ আনসার আল ইসলামের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে ‘হিজরতের’ নামে ঘর ছেড়েছেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তথ্য রয়েছে।
সিটিটিসি সূত্র জানায়, শাকির ও আবরারুলের বিরুদ্ধে গতকাল রামপুরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে। সিটিটিসির করা এ মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।এ বিষয়ে ওয়ালী উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুরের পর তিনি সংবাদ সম্মেলন করবেন। সেখানে যা বলার আছে, তা বলবেন।
বাংলা ম্যাগাজিন এস/কে