পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে শ্রেণিকক্ষে বোরকা পরা ও ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় এক শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
উপজেলার কামারকাঠি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা কাকলী রানী মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি, এ তথ্য নিশ্চিত করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুনীল বরণ হালদার জানান, অভিযুক্ত শিক্ষিকা দোষ স্বীকার করায় মঙ্গলবার বিকেলে ম্যানেজিং কমিটির সভায় তাঁর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ঘটনার পর গা-ঢাকা দেন শিক্ষিকা কাকলী। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ।জানা গেছে, বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির সামাজিক সমস্যা ও প্রতিকার বিষয়ে পড়ানোর সময় মুসলিম মেয়েদের বোরকা পড়া এবং ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেন কাকলী রানী। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি বাড়িতে গিয়ে জানালে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হক, ইউএনও মোশারেফ হোসেন, পৌর মেয়র গোলাম কবির, ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর সঙ্গে বৈঠক হয়। এ সময় তদন্ত করে এ ঘটনায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসে।
তবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না ওই শিক্ষিকা।ওসি আবির বলেন, কারও ধর্ম নিয়ে কটূক্তি বা সমালোচনা করা উচিত নয়। ধর্ম নিয়ে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না, যারা এসব করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলা ম্যাগাজিন /এনএইচ