পাবনার ঈশ্বরদীতে শিক্ষকের যৌন হয়রানির শিকার হয়ে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এ ঘটনার পর ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার এলাকাবাসী। তাই পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মিলন কুমার ভৌমিক।
তিন মাস আগে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলেও তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য তদন্ত প্রতিবেদন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করতে পারেনি উপজেলা শিক্ষা অফিস।এসব নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র অসন্তোষ।
সুতানদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহেল আহম্ম সিরাজ জানান, এ ঘটনার পর থেকে দুই ছাত্রীকে তার পরিবার বিদ্যালয়ে আসতে দিচ্ছে না। তাদের লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়েছে। একজন শিক্ষকের কারণে দুটি কোমলমতি শিশুর শিক্ষা জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে।
পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, মিলন কুমার ভৌমিক শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকেই শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানির অন্তত ১৩/১৪টি ঘটনা ঘটিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুতানদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে প্রেম ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কয়েক দফায় শ্লীলতাহানি ও অনৈতিক কাজ করে তিন মাস যাবত পলাতক রয়েছেন মিলন কুমার ভৌমিক নামের এক শিক্ষক। আর লোকলজ্জা ও সম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে পরিবার।
পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মুনসুর হোসেনের বদলিজনিত কারণে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে দেওয়া কলও রিসিভ করেননি।এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মুঠোফোনে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মিলন কুমার ভৌমিক বলেন, আমার বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হচ্ছে তাই। মেডিক্যাল ছুটি নিয়ে বাড়িতে রয়েছি।
ঈশ্বরদী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, মিলন কুমার ভৌমিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিশুদের শ্লীলতাহানি করা, অনৈতিক কর্মকাণ্ড অব্যহত রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রতিবেদন প্রদানের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনার জন্য যা যা করণীয় তা করা হবে।
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে