বগুড়ার ধুনট উপজেলায় প্রেমিকার বাড়ি থেকে পরকীয়ায় আসক্ত বানচা কর্মকার (৫০) নামে এক প্রেমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত বানচা কর্মকার উপজেলার বিলকাজুলী গ্রামের নিখিল চন্দ্র কর্মকারের ছেলে।আজ মঙ্গলবার দুপুরের পর ধুনট থানা থেকে বানচার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে বানচা কর্মকার তার প্রেমিকার বাড়িতে যাওয়ার পর মাঝরাতে তার ছেলে বাঁধন কুমারকে সেলিনা ফোন করে জানান, তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বানচাকে মৃত অবস্থায় ওই বাসার বারান্দায় দেখতে পায় তার পরিবার। খবর পেয়ে পুলিশ বানচা কর্মকারের লাশ উদ্ধার করে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বানচা কর্মকার পেশায় একজন কামার। একই এলাকার স্বামী পরিত্যক্ত সেলিনা বেগমের সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রায়ই প্রেমিকার বাড়িতে যেতেন তিনি।এ বিষয়ে সেলিনা বেগম বলেন, বানচা কর্মকারের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ছিল। তিনি আমার বাড়িতে অবাধে যাতায়াত করেছেন। সোমবার রাতে আমার বাড়িতে আসার সময় বৃষ্টিভেজা আঙিনায় পা পিছলে পড়ে গিয়ে মারা যান তিনি। তখন তার পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
জানা যায়, বানচা কর্মকার দীর্ঘদিন ধরে ধুনট-শেরপুর সড়কের হুকুম আলী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় কামার শিল্পের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। একই এলাকার পাকুড়িহাটা গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা সেলিনা বেগমের সাথে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সুযোগ পেলেই প্রেমিকার বাড়িতে যেতো বানচা কর্মকার।
ধুনট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেলিনা বেগমকে আটক করা হয়েছে।
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে