বৃটিশ সরকারের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস (ওএনএস) বলেছে, ১৯৭৪ সালের মে থেকে জুলাইয়ের পর ওই এই তিন মাসে বৃটেনে বেকারত্বের সংখ্যা নেমে এসেছে শতকরা ৩.৬ ভাগে। এটা ওই সময়ের পর সর্বনিম্ন হার। বেকারত্বের হার শতকরা ৩.৮ ভাগ থাকবে বলে আশা করছিলেন বেশির ভাগ অর্থনীতিবিদ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বেলফাস্ট টেলিগ্রাফ।
প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে বৃটেনে বেকারত্বের হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। তবে জব মার্কেট বা কর্মক্ষেত্র থেকে চাকরি বা কাজ ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা আগের থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে।এ ছাড়া করোনা মহামারির সময় যাদের বয়স একটু বেশি তারা আগেভাগেই অবসরে গিয়েছেন। এসব কারণে কয়েক বছরে নিষ্ক্রিয় মানুষের শতকরা হার বৃদ্ধি পেয়েছে।এসব কারণে লেবার মার্কেট সংকুচিত হচ্ছে।
ওএনএস দেখতে পেয়েছে, অর্থনীতিতে কথিত নিষ্ক্রিয়তার শতকরা হার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৭ ভাগে। কমপক্ষে ৫ বছরের মধ্যে এই হার সর্বোচ্চ। অর্থনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় হিসেবে ওএনএস যাদেরকে দেখতে পেয়েছে এই চতুর্ভাগে তাদের সংখ্যা ১,৯৪,০০০ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ লাখ। এর মধ্যে বেশির ভাগই দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতায় ভুগছেন। এর সঙ্গে আবার আছে শিক্ষার্থীরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের পলিসি-মেকারদের মধ্যে আরও উদ্বেগ দেখা দেবে। কারণ, কর্মী সংকটের কারণে মজুরি খাতে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে বৃটেনে ১২ লাখ ৭০ হাজার টিকা নিয়েছেন, আগস্ট পর্যন্ত তাদের অনেকের কাজে যোগ দেয়ার কথা। ফলে নিষ্ক্রিয় কর্মীর সংখ্যা ৩৪ হাজার কমে যেতে পারে।
বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ