সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় রাহিদ হোসেন (১৯) নামের এক তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের উত্তর ধারবাহর গ্রামে একটি গাছে ওই তরুণকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পান স্বজনেরা।
তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রাহিদ হোসেন উত্তর ধারাবহর গ্রামের মৃত সোবহান উদ্দিনের ছেলে। স্বজনদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে রাহিদকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিহত রাহিদের বড় ভাই আমির হোসেনের দাবি, একটি পক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা তাঁর ছোট ভাইকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছেন বলে তিনি ধারণা করছেন।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাতে ওই তরুণের বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে একটি গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রাহিদকে দেখতে পান স্বজনেরা।
তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলা ম্যাগাজিন এস/কে