অপরাধঢাকাবাংলাদেশ

সিআইডি পরিচয় দিয়ে এক চিকিৎসক তুলে নিয়ে গেল রামপুরা থেকে

গত রোববার বেলা তিনটার দিকে সিআইডি পরিচয়ে সাদা পোশাকে চারজন ব্যক্তি ঢাকার রামপুরার বাসা থেকে ছেলেকে সিআইডি পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন এ, কে, এম ওয়ালী উল্লাহও।এ, কে, এম ওয়ালী উল্লাহও বলেছেন, তাঁর ছেলে শাকির বিন ওয়ালী একজন চিকিৎসক। তিনি সদ্য এমবিবিএস পাস করেছেন।

বাবা ওয়ালী উল্লাহ বলেছেন, বিষয়টি জানার পর তিনি রামপুরা থানায় যোগাযোগ করেন। থানা থেকে বলা হয় পুলিশ এ ব্যাপারে কিছু জানে না । সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে চাইলে পুলিশ সেটি নেয়নি। পুলিশ ডায়েরিতে নোট নিয়েছে।

শাকিরের বাবা এ, কে, এম ওয়ালী উল্লাহও একজন চিকিৎসক। তিনি চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন। তিনি বলেছেন, প্রায় দুই যুগ ধরে পূর্ব হাজীপাড়ার ৬৮/১ নম্বর বাসায় তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছেন। পেশাগত কাজে তিনি (ওয়ালী উল্লাহ) বাইরে ছিলেন। তাঁরা  শাকিরকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে নিয়ে যান। তাঁরা নিজেদের নাম, পরিচয় না জানিয়ে শুধু বলেছেন, ‘আমরা সিআইডির লোক’।

ওয়ালী উল্লাহ বলেছেন, ছেলের খোঁজে গতকাল সোমবার মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু ছেলের  কোনো খোঁজ পাননি। সিআইডি কার্যালয়ে গিয়ে রিসেপশনে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করা হয়। পরে আবারও রামপুরা থানায় জিডি করতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম মাওলা বলেন,  তিনি (গোলাম মওলা) নিশ্চিত রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার লোক শাকিরকে নিয়ে গেছে। এ কারণে জিডি করা সম্ভব নয়।

বাবা ওয়ালী উল্লাহ আরও বলেছেন, থানা থেকে ফেরার পর ওই দিনই রাত ১০টার দিকে ৪/৫ জনের একটি দল আবার বাসায় আসে।তাঁরা নিজেদের সিআইডির লোক বলে পরিচয় দেন। পরে শাকিরের ঘর তল্লাশি করে  একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যান। তখনো তাঁরা নিজেদের বিস্তারিত পরিচয় জানাননি। শাকিরের বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, শাকির সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ে আছেন। তদন্তের জন্য তাঁরা দ্বিতীয়বার বাসায় এসেছেন।

রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মওলা বলেন, সিআইডি পরিচয়ে বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করতে এসেছিলেন শাকিরের বাবা। তখন সিআইডিতে খোঁজ নিতে বলা হয় তাঁকে। পরে আর তিনি থানায় যোগাযোগ করেননি।

তবে ওয়ালী উল্লাহ বলেছেন, সিআইডিতে খোঁজ নিয়ে ছেলের বিষয়ে তথ্য না পেয়ে তিনি রামপুরা থানায় এসে অভিযোগ দিতে চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম মওলা বলেন, তিনি আর থানায় আসেননি। তিনি লিখিত অভিযোগ দিলে অবশ্যই নেওয়া হবে।  বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ

Back to top button