অস্ট্রেলিয়ায় মর্মান্তিক এক ঘটনা ঘটেছে।অস্ট্রেলিয়ার রেডমন্ডে ৭৭ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগের আঙ্গুল উঠলো বুনো ক্যাঙ্গারুর দিকে। জানা গিয়েছে, বুনো ক্যাঙ্গারুটি ওই প্রৌঢ়ের পোষ্য ছিল। ১৯৩৬ সালের পর ৮৬ বছরের মধ্যে এই প্রথম এই ধরনের মারাত্মক ক্যাঙ্গারু আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ক্যাঙ্গারুটিকে ওই বৃদ্ধ পোষ মানিয়েছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রোববার বিকেলে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রেডমন্ডের এক বাড়িতে আহত অবস্থায় ওই প্রৌঢ়কে উদ্ধার করেন তাঁর এক আত্মীয়। বৃদ্ধের গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, শেষমেশ ক্যাঙ্গারুটিকে গুলি করে মারতে বাধ্য হন তারা। কারণ তাঁর কারণে ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছিল।
পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁরা নিশ্চিত ওই ব্যক্তিকে ক্যাঙ্গারু আক্রমণ করেছিল। মুখপাত্র বলেন, “অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা যখন ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে গিয়েছিলেন, তখন তাদের বাধা দিয়েছিল ওই ক্যাঙ্গারু।” পুলিশ জানিয়েছে, ক্যাঙ্গারুর প্রজাতি এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেট সাউদার্ন অঞ্চলে ওয়েস্টার্ন গ্রে ক্যাঙ্গারুদের বেশি দেখা মেলে। এই বিশেষ প্রজাতির ক্যাঙ্গারু ৪ ফুট ৩ ইঞ্চি অবধি লম্বা হতে পারে এবং এদের ওজন ৫৪ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।
এই প্রজাতির পুরুষরা আক্রমণাত্মক হয় এবং তারা নিজেদের মধ্যে লড়াই করতে করতে মানুষকেও আক্রমণ করতে পারে। তারা তাদের প্রতিপক্ষের সাথে লড়াই করার জন্য তাদের উপরের ছোট অঙ্গগুলি ব্যবহার করে, শরীরের ওজন নিতে তাদের পেশীবহুল লেজ ব্যবহার করে, তারপর তাদের শক্তিশালী নখরযুক্ত পিছনের পা দুটি দিয়ে আঘাত করে।
অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ১৯৩৬ সালে ৩৮-এর উইলিয়াম ক্রিকশ্যাঙ্ক অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের হিলস্টনের একটি হাসপাতালে ক্যাঙ্গারু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার কয়েক মাস পরে মারা যান। দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড সংবাদপত্র সেই সময়ে রিপোর্ট করেছিল যে ক্রিকশ্যাঙ্ক তার দুটি কুকুরকে একটি বড় ক্যাঙ্গারু থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করার সময় ক্যাঙারুর আক্রমণেঐ ব্যক্তির চোয়াল ভেঙে গিয়েছিল ও মাথায় ব্যাপক আঘাত পেয়েছিল।
সূত্র : বিবিসি।
বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ